উপাসনাস্থল আইনের উলঙ্ঘন করেছে বারাণসী আদালত, জ্ঞানব্যাপী নিয়ে অভিযোগ সিপিআইএমের

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: জ্ঞানব্যাপী মামলায় আদালতের বিরুদ্ধেই গুরুতর অভিযোগ তুলল সিপিআইএমের কেন্দ্রীয় কমিটি। সম্প্রতি বারাণসীর জ্ঞানবাপী মসজিদের দেওয়ালের বাইরের অংশে যে দেবদেবীর মূর্তি রয়েছে, সেখানে পুজোর অনুমতি চেয়ে মামলা দায়ের হয়েছিল৷ মামলা দায়ের করেছিলেন পাঁচজন মহিলা৷ এই আবেদনের যৌক্তিকতা নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তুলেছিল মসজিদ কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু সেই যুক্তি খারিজ করেই মামলা শুনতে রাজি হয় বারাণসী জেলা আদালত৷ আর তাতেই ১৯৯১ সালের উপস্থাপনাস্থল সংক্রান্ত আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলা হয়েছে সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে। একইসঙ্গে ধর্মীয় স্থান সংক্রান্ত আইন বজায় রাখার আবেদন জানানো হয়েছে।

মঙ্গলবার সিপিএম কেন্দ্রীয় কমিটির তরফে এক বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, "জ্ঞানবাপী মামলায় বারাণসীর জেলা আদালতের সিদ্ধান্তে ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থান সংক্রান্ত আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে। আদালত বলেছে মসজিদের অভ্যন্তরে প্রার্থনার অধিকার চেয়ে দায়ের হওয়া মামলাগুলি গ্রহণযোগ্য এবং উল্লিখিত আইনে এমন ক্ষেত্রে কোনও বাধা নেই।"



সিপিএমের আরও বক্তব্য, "অনভিপ্রেত ঘটনা প্রতিরোধের উদ্দেশ্যেই আইনটি প্রণয়ন করা হয়েছিল৷ বিচার বিভাগেরই একাংশের দ্বারা সেই আইনের ভুল ব্যাখ্যায় পরিস্থিতি ভয়াবহ পরিণতির দিকে এগোবে। কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন দল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে আক্রমণ করার লক্ষ্যে ইতিহাসের বিকৃত ব্যখ্যা-সহ যা খুশি তাই করতে চায়, এটা কোনও গোপন বিষয় নয়। ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করার লক্ষ্যেই বিভিন্ন মন্দিরের ধ্বংসাবশেষের জায়গাতেই মসজিদগুলির নির্মাণ করা হয়েছিল, এমন দাবি তোলা হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের লক্ষ্যেই এই দাবি তোলা হচ্ছে৷ এই কৌশল সাম্প্রদায়িক রাজনীতির এক অতি পরিচিত পদ্ধতি।"

এখানেই শেষ নয়। সিপিএম পলিট ব্যুরোর আরও অভিযোগ, "মথুরা ও বারাণসীর মতো ঘটনা যেখানে উদ্দেশ্য প্রণোদিত আবেদন করা হচ্ছে, এমন পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সর্বোচ্চ জাতীয় স্বার্থকে অক্ষুন্ন রাখাই ছিল ১৯৯১ সালে প্রণীত উপাসনাস্থানসমূহ সংক্রান্ত আইনটির প্রধান লক্ষ্য। ১৯৯১ সালে প্রণীত বিধানটির লক্ষ্য ও অবস্থানের গুরুত্ব মাথায় রেখেই কঠোরভাবে এই আইন প্রয়োগের জন্য নিজেদের সোচ্চার সমর্থনকেই পুনর্ব্যক্ত করছে সিপিআইএম।"

প্রসঙ্গত, সোমবার বিচারক রায় দিলেন জ্ঞানবাপী গৌরী শৃঙ্গার মামলায়৷ রায়ে তিনি জানিয়েছেন, যে পরবর্তী শুনানি হবে ২২ সেপ্টেম্বর। গত ২০ মে জ্ঞানব্যাপী মামলায় জরুরি ভিত্তিতে শুনানি শুরু করেন বারাণসী জেলা আদালতের বিচারক৷ মূলত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, মামলার গুরুত্ব বিচার করে দ্রুত শুনানি শেষ করতে হবে৷ ২০২১ সালের ২৪ আগস্ট এই মামলা দায়ের করা হয়েছিল।

Post a Comment

1 Comments

  1. We put all our recommendations through a25-step evaluations processand check them every three months to make sure they're nonetheless 바카라사이트 delivering on quality games. Only play on-line slots for actual money at respected, trustworthy on-line casinos. If you're ever doubtful, head to Casino.org to seek out|to search out} high rated sites. We put all our recommendations through a 25-step evaluations process and check them every three months to make sure they're nonetheless delivering on quality games.

    ReplyDelete