পক্ষে-বিপক্ষে নয়, নিজামুদ্দিনের গোপন রহস্যটাও প্রকাশ্যে আসুক?

প্রনোজিত দে

"সত্য তরবারীর মতো ক্ষুরধার ও পক্ষপাতহীন হোক।" এই লেখা নিজামুদ্দিনের পক্ষে বা বিপক্ষে নয়। এই লেখা সত্যের পক্ষে। সমস্ত তথ্যের প্রামাণ্য আছে, দিতেও প্রস্তুত। প্রথমে দেখা যাক নিজামুদ্দিনের ওই ঘটনার আগে ও পরে ঠিক কি হচ্ছিল। জমায়েত কি শুধু নিজামুদ্দিনেই হচ্ছিল নাকি ওই একই সময়ে এমনকি তার পরেও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় জমায়েত হচ্ছিল? বিদেশ থেকে লোক কি শুধু নিজামুদ্দিনেই আসছিল নাকি ওই একই সময়ে এমনকি তার পরেও সারা দেশের বিমানবন্দরে বিদেশ থেকে লোক আসছিল?  আসুন ঘটনাগুলো পরপর দেখে নেওয়া যাক।
১৮ই জানুয়ারি: দেশে ফেরা সমস্ত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রীদের স্ক্রিনিং শুরু করলো সরকার।
৩০শে জানুয়ারি: ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্তর খোঁজ মিলল।
৮ই মার্চ-১৮ই মার্চ: প্রতিদিন গড়ে ৪০ হাজার দর্শনার্থীর সমাগম তিরুপতি মন্দিরে এবং ৮ই মার্চের আগে প্রতিদিন গড়ে ৮০০০০ দর্শনার্থীর সমাগম হতো।
৯ই মার্চ: সব বিমানবন্দরে থার্মাল স্ক্রিনিং শুরু (যদিও সব বিমানবন্দরে শুরু হয়েছিলো কিনা তার সত্যতা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে, আমার কাছের একজনের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলছি)।
১০ই মার্চ: হাজার হাজার লোক মিলে দেশজুড়ে খেলা হলো দোল এবং হোলি (ওইদিন ভারতে করোনা রুগীর সংখ্যা ৪৬ জন)।
১০ - ১২ই মার্চ: পাঞ্জাবের আনন্দপুরায় তিনদিনব্যাপী "হোলা মহল্লা" উৎসব শুরু। সেই উৎসবে অংশ নিয়েছিলেন করনায় মৃত বলদেব সিং যিনি জার্মানি থেকে আসেন এবং তার করোনা ধরা পড়ার পর ২০ টি গ্রামের ৪০ হাজার লোককে আইসোলেশনে পাঠানো হয়।
১০ই মার্চ: রোমের ভ্যাটিকান সিটি বন্ধ করার কথা ঘোষণা করা হয়, কিন্তু আমেরিকার চার্চ "ব্যাটন রুজ" এবং গ্রীসের "গ্রীস অর্থোডক্স চার্চ" ঘোষণা করলো যে তারা চার্চ বন্ধ রাখবে না এবং একই সঙ্গে ভারতের কোনো চার্চও চার্চ বন্ধ রাখার ব্যাপারে কোন ঘোষণা করে না।
১১ই মার্চ: করোনাকে আন্তর্জাতিক "প্যানডেমিক" হিসেবে ঘোষণা করলো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
১৩ই মার্চ: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণার বিরুদ্ধে গিয়ে করোনা "স্বাস্থ্যগত দিক থেকে উদ্বেগজনক নয়" জানালো স্বাস্থ্যমন্ত্রক (ওইদিন ভারতে করোনা রুগীর সংখ্যা ৮১ জন)।
১৩ - ১৫ই মার্চ: নিজামুদ্দিনের জমায়েত।
১৪ই মার্চ: অল ইন্ডিয়া হিন্দু মহাসভার গোমুত্র পার্টি। প্রায় ২০০ জনের সমাবেশ।
১৫ই মার্চ: অন্ধ্রপ্রদেশের অনন্তপুর জেলার কাদিরি শহরের ছোট সরু রাস্তাজুড়ে প্রায় দেড় লাখ লোকের সমাগম। উপলক্ষ্য কাদিরি নরসিমা স্বামী ব্রম্হোৎসব।
১৬ই মার্চ: দিল্লি সরকারের ৫০ জনের উপরে জমায়েতের উপর নিষেধাজ্ঞা।
১৬ই মার্চ: এই দিন পর্যন্ত খোলা ছিল সিদ্ধি বিনায়ক মন্দির।
১৬ই মার্চ: এই দিন পর্যন্ত খোলা ছিল উজ্জয়ন মহাকালেশ্বর মন্দির।
১৭ই মার্চ: এই দিন পর্যন্ত খোলা ছিল সাইবাবার মন্দির।
১৭ই মার্চ: এই দিন পর্যন্ত খোলা ছিল ভারত বিখ্যাত শনি মন্দির।
১৮ই মার্চ: ওইদিন পর্যন্ত খোলা ছিল বৈষ্ণোদেবীর মন্দির।
১৯শে মার্চ: প্রথম সামাজিক দুরত্বের কথা ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী এবং ২২শে মার্চ "জনতা কারফিউ"-র কথা ঘোষনা করেন।
১৯শে মার্চ: তিরুপতি মন্দির দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ করা হয়। একটু তারিখগুলো দয়া করে খেয়াল করবেন।
১৯শে মার্চ: দিল্লির আর্চ বিশপ চার্চ বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করলেন যদিও ভ্যাটিকান বন্ধ হয়েছিল ১০ই মার্চ।
২০শে মার্চ: এইদিন পর্যন্ত খোলা ছিল কাশীর বিশ্বনাথ মন্দির।
২২শে মার্চ: জনতা কারফিউ।
২২শে মার্চ: বিকেল ৫ টার আগে থেকেই দলে দলে মানুষের জমায়েত এবং থালা বাটি বাজানো।
২৩শে মার্চ: আন্তর্জাতিক বিমান বন্ধের ঘোষণা।
২৩শে মার্চ: এইদিন পর্যন্ত খোলা ছিল পার্লামেন্ট এবং করোনা পজিটিভ গায়িকা কনিকা কাপুরের সঙ্গে পার্টি করে আসা এমপির উপস্থিতি ছিল পার্লামেন্টে।
২৩শে মার্চ: বেশকিছু মানুষের সমাগমে মধ্যপ্রদেশের বিজেপি সরকারের শপথগ্রহণ।
২৫শে মার্চ: ভারতজুড়ে লকডাউন।
২৫শে মার্চ: যোগী আদিত্যনাথের রামলীলা যাত্রা।
২৬শে মার্চ: কেন্দ্রীয় সরকার সব রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে জানালো যে ১৮ই জানুয়ারি থেকে ২৩শে মার্চ পর্যন্ত ভারতে প্রায় ১৫ লক্ষ লোক বিদেশ থেকে ঢুকেছেন যাদের বেশিরভাগের গতিবিধির কোন খবর সরকারের কাছে নেই। এরা কোথায় আছে, কি করছে, কাদের সঙ্গে মিশছে সেই সংক্রান্ত সব খবর যেনো সরকারকে দেওয়া হয়। ভাবুন কি ভয়ংকর ঘটনা।
২৮শে মার্চ: দিল্লির আনন্দ বিহার বাসস্ট্যান্ডে হাজার হাজার লোক সমাগম বাড়ি ফেরার বাস ধরার উদ্দেশ্যে।
২৮শে মার্চ: এই ভয়াবহ পরিস্থিতির মধ্যেও ২০ তারিখ তীর্থভ্রমনে বের হন প্রায় ৪৫০ জন মানুষ এবং বৈষ্ণোদেবী দর্শনে গিয়ে তারা জন্মুতে আটকে পড়েন। খবর প্রকাশ হয়। তারা সরকারের কাছে সাহায্য চান বাড়ি ফেরার জন্য ঠিক যেমন নিজামুদ্দিনে আটকে পড়া মানুষরা সরকারের সাহায্যপ্রার্থী হয়েছিলেন।

তাহলে ব্যাপারটা কি দাঁড়ালো?
Representative Image Credit Flickr


"সামাজিক দুরত্ব"-র নিয়ম না মেনে নিজামুদ্দিনে ৪০০০ লোক জমায়েত অন্যায়, কিন্তু তিরুপতিতে প্রতিদিন ৪০ হাজার লোক জমায়েত বা ওই একই সময়ে অন্ধ্রপ্রদেশে ধর্মীয় কারণে দেড় লাখ লোক জমায়েত বা গতমাসের মাঝামাঝি বা শেষের দিকে বন্ধ হওয়ার আগে ভারতের বড়ো বড়ো সব মন্দিরে বা চার্চ অথবা গুরুদোয়ারা ইত্যাদিতে লক্ষ লক্ষ মানুষের জমায়েত অন্যায় নয়। এই সময়ে বা তার আগে পরে বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে হাজার হাজার বা লাখ লাখ মানুষের জমায়েত অন্যায় নয়। থালা বাটি বাজিয়ে হাজার হাজার লোকের "জনতা কার্ফু" উদযাপন অন্যায় নয়। তখন কেউ প্রশ্ন করে না!
এই পরিস্থিতিতে নিজামুদ্দিনের ধর্মীয় উৎসব করা অন্যায়, কিন্তু ওই একই সময়ে বা তার কাছাকাছি সময়ে যোগী আদিত্যনাথের রামলালা যাত্রা বা অন্ধ্রপ্রদেশে লক্ষ লক্ষ মানুষের ধর্মীয় উৎসব পালন বা পাঞ্জাবের "হোলা মহল্লা"-সহ সারা ভারতজুড়ে লক্ষ মানুষের দোল বা হোলি উদযাপন অন্যায় নয় কারণ ওগুলো তো মুসলমানদের ধর্মীয় উৎসব নয়। তখন কেউ কোনো প্রশ্ন করে না!
"সোস্যাল ডিসট্যান্সিং" না মেনে নিজামুদ্দিন খোলা রাখা অন্যায়, কিন্তু ওই একই সময়ে এমনকি তার পরেও পার্লামেন্ট, বিভিন্ন মন্দির, চার্চ, গুরুদোয়ারা ইত্যাদি খোলা রাখা অন্যায় নয়? সেটা নিয়ে কিন্তু কেউ কোনও প্রশ্ন করে না।
কাবা বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও নিজামুদ্দিন খোলা রাখা অন্যায়, কিন্তু ভ্যাটিকান বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও চার্চ খোলা রাখা অন্যায় নয়! এমনকি ভ্যাটিকানকে অগ্রাহ্য করে একাধিক চার্চ খোলা রাখার ঘোষণাও অন্যায় নয়। তখন কেউ প্রশ্ন করে না যে ভ্যাটিকান বন্ধ হওয়া সত্ত্বেও অনান্য চার্চ খোলা কেন? তারা কি ভ্যাটিকানের থেকে বড়ো? না এই প্রশ্ন কেউ করে না, কারন ওরা যে মুসলমান নয়। ওইসময় একটিও মন্দির বন্ধ হয় না, একটিও গুরুদোয়ারা বন্ধ হয় না, কিন্তু সেগুলো কোনো অন্যায় নয়। তখন কেউ প্রশ্ন করে না কারন তারাও যে মুসলমান নয়।
নিজামুদ্দিনে বিদেশি আসা অন্যায়। কিন্তু ৩০শে জানুয়ারি দেশের প্রথম করোনা কেস ধরা পড়া সত্ত্বেও এবং ১১ই মার্চ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার করোনাকে "প্যানডেমিক" ঘোষণা করা সত্ত্বেও গায়ের জোরে আন্তর্জাতিক উড়ান ২২শে মার্চ পর্যন্ত চালু রেখে দেশের মধ্যে ১৫ লক্ষ বাইরের দেশ থেকে আসা লোকদের ঢুকিয়ে দিয়ে এবং তাদের কোন খবর না রেখে ১৩০ কোটির দেশে তাদেরকে খোলা ছেড়ে দেওয়ার মত ভয়ংকর কাজটিও কোন অন্যায় নয়। এ নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন করে না।
নিজামুদ্দিনের লোকজন দেশজুড়ে করোনা ছড়াবে। আর তিরুপতি দর্শনে আসা দৈনিক ৪০ হাজার লোক এবং ভারতের অন্যান্য মন্দির, চার্চ গুরুদোয়ারায় প্রতিদিন জমায়েত হওয়া লক্ষ লক্ষ লোক, দোল, হোলিসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে জড়ো হওয়া লক্ষ লক্ষ লোক, গত দুই মাসে বিদেশ থেকে ভারতে আসা ১৫ লক্ষ লোক কোনরকম করোনা ছড়াবে না, পাঞ্জাবের আনন্দপুরায় হোলা মহল্লা উৎসবে যোগ দেওয়া করোনা আক্রান্ত যিনি পরে মারা যান তিনিও করোনা ছড়াবেন না বরং পদ্মফুল ছড়াবেন কারন তারা কেউই যে মুসলমান নয়। তাই এই নিয়ে কেউ কোনো প্রশ্ন করে না।
১৩ই মার্চ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ১১ই মার্চের ঘোষণার বিরুদ্ধে গিয়ে করোনা কোন চিন্তার ব্যাপার নয় এই ঘোষণা করে দেশবাসীকে সম্পূর্ণভাবে বিভ্রান্ত করা কোনো অন্যায় নয়, কিন্তু তাদের ওই ঘোষনা শুনে বাকি দেশবাসীর মতোই নিশ্চিন্তে থাকা নিজামুদ্দিন কতৃপক্ষের জমায়েত করাটা চরম অন্যায়। করোনা মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের এই ভয়াবহ ভুমিকা নিয়েও কেউ কোনো প্রশ্ন করে না। নিজামুদ্দিনে ধর্মকর্ম করতে আসা অপরাধ অথচ ২০ তারিখে কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন লোকের তীর্থ করতে বেরিয়ে বৈষ্ণোদেবী দেখতে গিয়ে জম্মুতে আটকে পড়া কোনো অপরাধ না। তাদেরকে কেউ কোনো প্রশ্ন করে না কারন তারা মুসলমান নয়।
পার্লামেন্ট খুলে রেখে, মধ্যপ্রদেশ মন্ত্রীসভা শপথগ্রহণ করিয়ে, মুখ্যমন্ত্রী হওয়া সত্ত্বেও আদিত্যনাথের দায়িত্বজ্ঞানহীন রামলালা যাত্রা এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের দ্বারা "সামাজিক দুরত্ব"-র গুরুত্ব সাধারণ মানুষের সামনে হাস্যকর করে তোলার ক্ষমাহীন কাজ কোনো অন্যায় নয়, কিন্তু নিজামুদ্দিনের জমায়েত চরম অন্যায়। এক্ষেত্রে স্বাস্থ্য মন্ত্রক, পার্লামেন্ট বা যোগীসহ অন্যান্যদের ভুমিকা নিয়ে কিন্তু কেউ কোনো প্রশ্ন করে না।
এই পরিস্থিতিতে সামাজিক দুরত্বের নিয়ম না মেনে জমায়েত করা অবশ্যই অন্যায়। জমায়েত করলে তা অবশ্যই শাস্তিযোগ্য সে যেই করুক না কেন। কিন্তু সেই অন্যায়ের কারনে যদি নিজামুদ্দিন কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে এফআইআর হয় তাহলে একই সময়ে এমনকি তার পরেও সেই একই অপরাধ করার জন্য এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিজামুদ্দিনের থেকে অনেক বড়ো মাত্রায় করার জন্য ভারতের পার্লামেন্ট, যোগী আদিত্যনাথ, ভারতের বিভিন্ন জনবহুল মন্দির, চার্চ, গুরুদোয়ারা ইত্যাদির বিরুদ্ধে কেন এফআইআর হবে না?
একইসঙ্গে কর্তব্যে গাফিলতি ও দায়িত্বজ্ঞানহীনতা এবং এই পরিস্থিতিতে দেশের মানুষকে বিপথগামী করার ভয়াবহ অভিযোগে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক, বিমান চলাচল মন্ত্রক, স্বাস্থ্য মন্ত্রক, কনিকা কাপুরসহ বিদেশ থেকে এই দেশে এসে শরীর খারাপ নিয়েও সামাজিকভাবে মেশা লোকজনের বিরুদ্ধে কেন এফআইআর হবে না? একটা রাষ্ট্রের সামগ্রিক ব্যবস্থার ব্যর্থতা ঢাকার জন্য সমাজের একটি অংশকে টার্গেট করে তাদের অপরাধী বলে দেওয়া এবং ওই একই সময়ে এমনকি তার পরেও ওই একই কাজ অনেকে অনেকক্ষেত্রে অনেক বড়ো মাত্রায় করা সত্ত্বেও সেইসব ঘটনার বেলায় চোখ বন্ধ করে রাখার মতো অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্যই এই প্রতিবেদন। একচোখে না, দুইচোখে দেখতে শিখুন, নাহলে চোর রাজা কবে সাধু হয়ে যাবে ধরতে পারবেন না।
"তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ.....আজ আমি চোর বটে"

(মতামত লেখকের নিজস্ব। আপনিও পাঠাতে পারেন মতামত। সত্যতার উপর ভিত্তি করে আমরা প্রকাশ করব।
-সম্পাদক, বেঙ্গল মিরর)

Post a Comment

1 Comments

  1. দারুন লেখা। সত্য আপনাদের মাধ্যমেই পরিস্ফুটিত হবেই।

    ReplyDelete