মাদ্রাসা: কমিশনের খেয়ালখুশি আচরণে ধ্বংসের পথে শিক্ষাব্যবস্থা, নিস্তার কবে? প্রশ্ন

মৌসুমী দাস: বাম আমলে স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে সরকার পোষিত বা সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলিতে শিক্ষক ও অশিক্ষককর্মী নিয়োগের কার্যক্রম শুরু হয়। একইভাবে হাই মাদ্রাসা ও সিনিয়র মাদ্রাসার জন্য তৈরি হয় মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ে পরিচালন সমিতির মাধ্যমে নিয়োগে অনেক দুর্নীতি হত, এই দুর্নীতি নির্মূল করতে ও যোগ্যদের বাছাই করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখত সার্ভিস কমিশন। অভিযোগ, তৃণমূল আমলে এই দুটি সংস্থা তাদের কৌলিন্য হারিয়েছে, হারিয়েছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা। আদালতে বারবার তাদের গ্রহণযোগ্যতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তারপরেও যেটুকু সেটুকুকে সঠিকভাবে কাজে লাগাচ্ছে না কমিশন। স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্যের

মাদ্রাসা শিক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে। আদালতে নেই কোনও মামলার ঝুঁকি, পরীক্ষাও হয়ে গিয়েছে তারপরেও নিয়োগের কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না কমিশন। ঠিক সে কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন।


জানা গিয়েছে, মাদ্রাসার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য অনলাইন আবেদনপত্র গ্রহণ শুরু হয় ২০২৩ সালের মে মাসের ১২ তারিখ। পরে আরো ডেট বাড়িয়ে ১৯ জুন পর্যন্ত করা হয় আবেদনপত্র গ্রহণ। পরীক্ষার নাম ছিল সপ্তম রাজ্যস্তরীয় বাছাই পরীক্ষা (সহশিক্ষক) বা 7th State Level Selection Test (Assistant Teacher) বা 7th SLST(AT) ।এর জন্য প্রথমবার পরীক্ষা হয় ২৮/১/২০২৪(টেট)।এই টেট পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হয় ২০২৪ সালের ডিসেম্বর মাসে। এই টেটের মেন পরীক্ষা হয় ১৯/১/২০২৫। তবে SLST (AT‑Main) যা নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য মেইন পরীক্ষা ৩ মার্চ ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত হয়। ডিসেম্বরে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য ফলাফল প্রকাশিত হয়। জানা গিয়েছে, ইন্টারভিউ হয় ৬ থেকে ১৫ জানুয়ারির ২০২৫ এবং পরে ডকুমেন্টস রি-ভেরিফিকেশনও হয়েছে। কিন্তু চূড়ান্ত মেধাতালিকা প্রকাশিত হচ্ছে না।

চাকরিপ্রার্থীদের বক্তব্য, মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন, নবান্ন, দফতরের সচিব পিবি সালিম , রাইটার্স বিল্ডিংয়ের মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শদাতা আব্দুস সাত্তার সবার কাছেই ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে কিন্তু সদুত্তর নেই। চাকরিপ্রার্থীদের দাবি, দ্রুত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত প্যানেল প্রকাশিত হোক। যেখানে হাইকোর্টের কোনও বাধা নেই সেখানে এভাবে যোগ্যদের বঞ্চিত করা মানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্ষতি করা হবে। বহু মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ২ বা আড়াই হাজার সেখানে শিক্ষক মাত্র ৫ বা ৬ জন। 

Post a Comment

0 Comments