প্রাথমিকে শূন্যপদ বাড়ানোর দাবিতে ধর্মতলায় অবরোধ, শামিল বিধায়ক নওসাদ

জাহানারা খাতুন

রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের পথে হাঁটছে সরকার। অভিযোগ অনেক শূন্যপদ থাকলেও সরকার ইচ্ছাকরেই কম সংখ্যক নিয়োগ করছে। তাই শূন্যপদ বাড়ানোর দাবিতে পথে চাকরিপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শিয়ালদহ স্টেশন থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করেন প্রাইমারি টেট পাস ডিএলএড ঐক্য মঞ্চ-এর সদস্যরা। তাঁদের মূল দাবি ছিল, প্রাথমিক শিক্ষায় আরও বেশি শূন্যপদ ঘোষণা করতে হবে। এ দিকের মিছিলে শামিল হন বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী। 

ছবি সংগ্রহ 

জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ঘোষণায় বর্তমানে ১৩,৪২১টি শূন্যপদ রয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারীদের দাবি, এই সংখ্যা বাস্তবের তুলনায় অনেক কম। ২০২২ সালের টেট উত্তীর্ণদের কথায়, প্রাথমিকের এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় শুধু ২০২২ বা ২০২৩ সালের ডিএলএড প্রশিক্ষিত টেট পাশরাই নয়, ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট পাশরাও আবেদন করবেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলেছিলেন প্রাথমিকে ৫০ হাজার শূন্যপদ আছে। তাহলে এত কম শূন্যপদ কেন ঘোষণা করল পর্ষদ?

অন্যদিকে কেউ বলছেন, শিক্ষা দফতরেরই এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, রাজ্যের ২,২১৫টি প্রাথমিক স্কুলে আছেন মাত্র একজন শিক্ষক। অধিকাংশ স্কুলই শিক্ষক সংকটে ভুগছে। তাই প্রাথমিক শিক্ষাকে বাঁচাতে অবিলম্বে শূন্যপদ বাড়িয়ে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে।

অন্যদিকে জানা গিয়েছে, আদালতের রায় অনুযায়ী যাঁরা টেট ছাড়া বর্তমানে শিক্ষকতা করছেন, তাঁদেরও টেট পরীক্ষা দিতে হবে, এমনকি ১০-১৫ বছর ধরে কর্মরত শিক্ষকরাও ছাড় পাচ্ছেন না। এই নির্দেশের ফলে প্রায় এক লক্ষ প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকাকে নতুন করে টেট দিতে হবে। ফলে রাজ্যের প্রাথমিক স্তরের পড়াশোনায় এর প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রশাসনের। সেই কারণেই রাজ্য সরকার রিভিউ পিটিশন দাখিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে খবর। এই প্রস্তাবে মুখ্যমন্ত্রী সায় দিয়েছেন। আইনজীবীদের মতামত নিয়ে খুব শিগগিরই সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন দাখিল করা হবে বলেও খবর।

Post a Comment

0 Comments