আইএসআই সরানোর চক্রান্ত করছে কেন্দ্র, অভিযোগ পূর্ণেন্দু বসুর

বিশেষ সংবাদদাতা: আধুনিকতাকে ভর করে এগিয়ে চলেছে প্রযুক্তি। প্রযুক্তির অত্যাধুনিক সংস্করণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সাধারণ জীবনযাত্রার উন্নতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে শুরু করেছে। এর নেপথ্যে রয়েছে বহু মানুষের  গবেষণা। ১৯৭০-এর দশকে দেশের প্রথম আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কিত গবেষণা চালু হয় তিনটি গবেষণা কেন্দ্রে। যাদের মধ্যে অন্যতম কলকাতার ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিস্টিকাল ইনস্টিটিউ। এখন এই সংস্থার হেডকোয়ার্টার কলকাতা থেকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কেন্দ্রীয় চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ।

এ নিয়ে সরব ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টেট কাউন্সিল অফ টেকনিক্যাল অ্যান্ড ভোকেশনাল এডুকেশন স্কিল ডেভেলপমেন্টের চেয়ারপার্সন তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। তিনি অভিযোগ করেন, ১৯৫৯ সালের আইন বদলে আইএসআইকে কলকাতা থেকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চক্রান্ত শুরু হয়েছে। বাংলার মেধা ও কৃতিত্বের প্রশংসা করার পরিবর্তে প্রত্যেকবার অসহযোগিতা এবং বৈষম্যমূলক আচরণ করেছে কেন্দ্র। শিক্ষা ও গবেষণার সব প্রতিষ্ঠানকে কেন্দ্র নিজের আয়ত্তে আনতে চাইছে। স্বতন্ত্রতা এবং স্বায়ত্তশাসনের পরিসরকে কমিয়ে দিয়ে রাজ্যের ভূমিকা খর্ব করার চক্রান্ত চলছে।

পূর্ণেন্দু বসুর সংযোজন, সফট কম্পিউটিং রিসার্চ সম্পর্কে অনেকেই বিস্তারিত জানেন না। ১৯৮০ দশকে সফট কমপিউটিং নিয়ে গবেষণা শুরু হয়। ২০০৪ সালে সেন্টার ফর সফট কম্পিউটিং রিসার্চ প্রতিষ্ঠিত হয়। তার কুড়ি বছর পূর্তি উপলক্ষে বুধবার আইএসআই কলকাতার অডিটোরিয়ামে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক সিম্পোজিয়ামের আয়োজন। উপস্থিত ছিলেন পূর্ণেন্দু বসু, মন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. আশিস ঘোষ, প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. শংকর পাল।