বিশেষ প্রতিবেদক, ৯ অক্টোবর: রাজ্যে ভোটের আগেই হবে ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনী বা এসআইআর। আগামী ২ নভেম্বর থেকেই তা রাজ্যে শুরু হতে পারে। এমনই বার্তা দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার কোলাঘাটে পূর্ব মেদিনীপুর, বাঁকুড়া এবং ঝাড়গ্রাম জেলার বিএলও, ইআরও বা এইআরও'দের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে এই ইঙ্গিত দিয়েছে কমিশন।
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, কমিশনের তরফে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে- ভোটার তালিকা সংশোধনের আগে প্রতিটি জেলায় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে হবে। কোথাও যেন ফাঁক না থাকে। কেবল ‘কাগুজে প্রস্তুতি’ নয়, চাই মাঠে নেমে বাস্তব যাচাই। কমিশনের এক কর্তা বলেন, “ভোটার তালিকা নির্ভুল করতেই এসআইআর। সমস্ত অফিসারদের নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে। অনিয়ম মিললে দায় এড়ানো যাবে না।”
![]() |
TBM graphics |
সূত্রের খবর, আগামী দিনে প্রতিটি জেলায় বিএলও'দের সঙ্গে পৃথক পৃথক বৈঠকের পরিকল্পনা রয়েছে কমিশনের। জেলাভিত্তিক রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে খুব llশীঘ্রই। রাজ্য প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “কমিশনের তরফে স্পষ্ট নির্দেশ এসেছে। সবাইকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।”
মঙ্গলবার রাতেই দিল্লি থেকে কলকাতায় এসে পৌঁছেছে কমিশনের উচ্চপর্যায়ের দল। রয়েছেন উপ-নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী, তথ্যপ্রযুক্তি শাখার ডিরেক্টর জেনারেল সীমা খান্না, কমিশনের সচিব এসবি যোশী এবং উপ-সচিব অভিনব আগরওয়াল। বুধবার সকালে তাঁদের নেতৃত্বেই হয় রাজ্যের জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক। সেখানে কমিশনের তরফে সাফ জানানো হয়েছিল, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে শেষ করতে হবে সমস্ত প্রস্তুতি। সময়মতো বিজ্ঞপ্তি জারি ও ফর্ম বিতরণে যেন কোনও গাফিলতি না হয়।
এ দিন কোলাঘাটের বৈঠকেও জেলার প্রস্তুতির খতিয়ান খোঁজ খবর নেন কমিশনের কর্তারা। কোথায় কতটা কাজ এগিয়েছে, সরেজমিনে সেই ছবি দেখা হয়। স্পষ্ট জানানো হয়েছে, বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের চার-পাঁচ দিনের মধ্যেই অন্তত ৩০ শতাংশ ফর্ম ছাপানোর কাজ শেষ করতে হবে। প্রতিটি জেলার নিজস্ব পরিকাঠামো ব্যবহার করে সেই ছাপার কাজ করতে হবে। বিহারের মতো এক জায়গা থেকে ফর্ম পাঠানোর পথে হাঁটবে না কমিশন।
0 Comments