বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: ফিলিস্তিনের গাজার মানুষকে লাগাতার বোমা-গুলির মাধ্যমে নারী, শিশু হত্যা করছে ইসরাইল। সেই কাজে আমেরিকার মদদ আছে, অভিযোগ তুলে অবিলম্বে শান্তি ফেরানোর দাবিতে সরব হল কলকাতা নাগরিক সমাজ। ভারত সরকার যাতে ঐতিহাসিক পরম্পরা মেনে ফিলিস্তিনিদের পাশে থাকে, সেই আর্জিও জানানো হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে গাজাবাসীর সঙ্গে সংহতি প্রকাশ এবং ইসরাইলের নৃশংস আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে বিশাল প্রতিবাদ মিছিল ও কনভেনশন হয়।
![]() |
প্রতিবাদ মিছিল |
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা ইসরাইলের নৃশংস আগ্রাসনের তীব্র নিন্দা জানান এবং চলমান গণহত্যা বন্ধের দাবিতে সরব হন। প্রতিবাদকারীরা দাবি তোলেন, ভারত সরকারকে অবিলম্বে ইসরাইলের কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাতে হবে এবং তার সঙ্গে সব ধরনের সামরিক ও কৌশলগত সহযোগিতা বন্ধ করতে হবে। ভারতকে তার দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য বজায় রেখে নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াতে হবে এবং অবৈধ দখলদারিত্ব বন্ধে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে সক্রিয়ভাবে সমর্থন করতে হবে। এছাড়াও গাজায় খাদ্য, পানীয় জল, জ্বালানি ও চিকিৎসাসামগ্রী প্রবেশের জন্য জরুরি মানবিক করিডর খোলা, গোটা দুনিয়াকে ইসরাইলের সঙ্গে সামরিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করা, ভারতের সিভিল সোসাইটি ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সচেতনতা প্রচার, ইসরাইলি পণ্যের বয়কট এবং শান্তিপূর্ণ সংহতি কার্যক্রম আরও জোরদার করতে হবে বলেও আহ্বান জানান মিছিলের আয়োজক মঞ্চ ‘ফ্রেন্ডস অফ প্যালেস্টাইন’।
মিছিলে শামিল হন এবং বক্তব্য রাখেন জামাআতে ইসলামি হিন্দের সহ-সভাপতি মালিক মুহতাসিম খান, পার্সোনাল ল’ বোর্ডের সদস্য মাওলানা মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, লেখক নুরুদ্দিন শাহ, জামায়াতের রাজ্য সভাপতি ডা. মসিহুর রহমান, হিউম্যান কেয়ারের উমার আওয়াইস, মাওলানা আমিনুল আম্বিয়া, অল ইন্ডিয়া তৌহিদি জনতার মাওলানা হাসিবুর রহমান, মানবাধিকারকর্মী ছোটন দাস।মিছিলে ছিলেন পীরজাদা সওবান সিদ্দিকী, সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের মাওলানা আনোয়ার হোসেন কাসেমি, এসআইও’র রাজ্যনেতা ইমরান হোসেন, সলিডারিটি মুভমেন্টের আরিফুর রহমান, সমাজকর্মী আবদুর রউফ প্রমুখ।
0 Comments