বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দফতর সেচ এবং উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের নামে দুর্নীতির অভিযোগ ঘিরে সরগরম ফেসবুক। হোয়াইট পলিটিক্স নামে ফেসবুক পেজ থেকে লেখা হয়েছে, "ভূতনী সহ বিভিন্ন প্রকল্পের শত শত কোটি গল্প করেছে আপনারা সবাই জানেন। সেটাও নয় বিভিন্ন চাকরি এবং ফুড সাব-ইন্সপেক্টর নিয়োগেও গল্প করেছেন। রাজ্যের বহু জায়গায় কয়েকশো কোটি টাকার বেনামী এবং নিজের নামে সম্পত্তি করেছেন তারমধ্যে একটা আজ তথ্য সমেত।" তারপর একটি সম্পত্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
বলা হয়েছে, "এই জায়গাটা মালদার যদুপুরের হাই স্কুল মোড়ের জায়গা, মালদা আসতে হাতের বাম দিকে। জায়গাটা খালা (নাম না করেও মন্ত্রীর কথা) নিজের নামে ৩ বছর আগে কিনেছেন ১০ শতক ৩ কোটি টাকা দিয়ে।এখন জায়গার মূল্য ৫ কোটি টাকা। ইংলিশবাজার থানার দক্ষিণ যদুপুর মৌজার ৪৭৩ নম্বর দাগে খতিয়ান ৫২৮৭ তে খালার নাম জ্বলজ্বল করছে। জায়গাটা কিনেই কেউ যাতে বুঝতে না পারে তাই Z+ সিকিউরিটি দিয়ে ঘিরেছে।" সঙ্গে প্রশ্ন তোলা হয়েছে যে," একজন মন্ত্রীর মাইনে কত যে একবারে ৩ কোটি দিয়ে কিনলেন? বুঝতে পারছেন ঘাপলাটা?"
আরও অভিযোগ, মন্ত্রী পেট্রোল পাম্প করছেন প্রায় ১০ কোটি দিয়ে। মোথাবাড়িতে জায়গা কিনে নতুন বাড়ি দিচ্ছে ৩ কোটি দিয়ে। ফেসবুকের ওই পেজ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত। তার আয় এবং সম্পত্তির মধ্যে কোনও সামঞ্জস্য নেই। আগামীতে ইডি, সিবিআই বা আয়কর দফতরকে জানানোর হুমকি দিয়েছে হোয়াইট পলিটিক্স।
![]() |
ফেসবুক পোস্ট |
সামগ্রিক বিষয় নিয়ে প্রতিক্রিয়া চাওয়া হলে মন্ত্রী জানান, সোশ্যাল মিডিয়ায় কে কি লিখল সে সম্পর্কে আমি কিছু বলতে চাই না। আমার বাবার পৈত্রিক সম্পত্তি বিক্রি করে আমি কোথাও সম্পত্তি কিনব বা কি করব তার জবাব তাদের আমি দিতে যাব না। তিনি আরও বলেন, আমি আমার জীবনে কারও কাছ থেকে পয়সা নিয়ে কোনও কাজ করেছি , কেউ প্রমাণ দিতে পারবে না। প্রকাশ্যে আমি এ কথা বলতে পারি। তিনি আরও বলেন, বাবা এবং শ্বশুরবাড়ির দুই পরিবার থেকেই আমার সম্পত্তির অংশ আছে। পারিবারিক ব্যবসা-বাণিজ্য আছে। সততার সঙ্গে জীবনযাপন করি। সততা আমাদের পুঁজি। আগামী দিনেও সৎভাবে মানুষের উন্নয়নের চেষ্টা করবেন বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।
0 Comments