বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: জামাআতে ইসলামী হিন্দ এর জাতীয় সম্পাদক মাওলানা শফি মাদানি অন্যান্য জামাআত নেতাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে পঞ্জাবের কপুরথলা জেলার সুলতানপুর লোধি (সাংগ্রা ও বাউপুর জাদিদ গ্রাম), পাঠানকোট জেলার সুন্দর চক, বাহাদরপুর, কলিয়া সফর তহসীল এবং জালন্ধরের সিন্ধুপুরে বন্যা আক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন। বিশেষ করে কলিয়া গ্রামে বন্যার পানিতে ৩০টি কংক্রিটের বাড়ি ভেসে গেছে। খুব দুঃখজনকভাবে, তিনজন ছোট ভাইবোন আর এক ৭৫ বছর বয়সী দাদীসহ চারজন মারা গেছেন।
পরিদর্শনের সময় জামাআত প্রতিনিধি দল স্থানীয় সিখ সম্প্রদায়ের নেতারা, নোডাল অফিসার ও বন্যা প্রভাবিত মানুষদের সঙ্গে কথা বলে তাদের তাত্ক্ষণিক প্রয়োজনসমূহ জেনে নেন। আলোচনা হয় কীভাবে তাড়াতাড়ি সাহায্য পাঠানো যায় – খাদ্য, আশ্রয়, পরিচ্ছন্ন পানি, চিকিৎসা সহায়তা এবং দীর্ঘমেয়াদে পরিবারের জীবন পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে।
![]() |
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলছেন জামাত প্রতিনিধি |
জামাআতে ইসলামী হিন্দ এবং ব্রাইট ফিউচার সোসাইটির স্বেচ্ছাসেবীরা ইতিমধ্যেই ত্রাণ ও উদ্ধার কাজে হাত লাগিয়ে দিয়েছেন। তারা প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দিচ্ছেন, চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছেন এবং ঘরবাড়ি হারানো পরিবারগুলোকে যতটা সম্ভব সাহায্য করছেন।
মাওলানা শফি মাদানি বলেন, “আমরা বন্যা প্রভাবিত মানুষের দুর্দশা দেখে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। জামাআতে ইসলামী হিন্দ ও সহযোগী সংগঠনগুলো খাদ্য, আশ্রয়, চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনসহ সব ধরনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যতক্ষণ না স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে।”তিনি আরও বলেন, “আমরা বন্যা আক্রান্ত মানুষদের পাশে থাকব, তাদের ত্রাণ, পুনরুদ্ধার এবং পুনর্বাসনের জন্য নিরলসভাবে কাজ করব। পাশাপাশি সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই যেন দ্রুত ত্রাণ পৌঁছে দেয়, প্রভাবিত এলাকার অবকাঠামো উন্নত করে এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে জীবিকা ফিরিয়ে নিতে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেয়।”
মাওলানা শফি মাদানি সাধারণ জনগণ এবং শুভাকাঙ্ক্ষীদেরও আহ্বান জানান, এগিয়ে এসে এই বিপর্যস্ত পরিবারগুলোকে সহায়তা করুন। একযোগে কাজ করে তাদের এই দুর্দিন থেকে উদ্ধার করা যাক।
0 Comments