ওয়াকফ-এসআইআর বিরোধী আন্দোলন ঠেকাতে পুলিশি বলপ্রয়োগের অভিযোগ

সুমন রায়

নয়া ওয়াকফ আইন বাতিল, এসআইআর করা যাবে না, এমনই নানান দাবিতে বুধবার পথে নামে একাধিক সংগঠন। কলকাতার ধর্মতলায় এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। পুলিশ সবাইক আটক করে। তারপর ক্ষোভ উগরে দিল সংগঠনগুলির শীর্ষ নেতারা। কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে কনস্টিটিউশন প্রটেকশন ফোরাম আয়োজিত শান্তিপূর্ণ ধরনামঞ্চে রাজ্য পুলিশের অগণতান্ত্রিক, দমনমূলক এবং স্বৈরাচারী আচরণ হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়।

আন্দোলনকারীদের বক্তব্য, আমরা সাধারণ নাগরিকদের হয়রানি, এসআইআর-এর নামে ‘ডি-ভোটার’ বানানোর চক্রান্ত, দেশব্যাপী বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অমানবিক নির্যাতন, ওয়াকফ সংশোধনী আইন ২০২৫-এর অবিলম্বে প্রত্যাহার, ওবিসি শংসাপত্র পুনর্বহাল এবং ভুয়ো এসসি/এসটি শংসাপত্র প্রদানের প্রতিবাদ- এই গুরুত্বপূর্ণ গণতান্ত্রিক দাবিগুলি উত্থাপন করেছি। পুলিশ যোগী-রাজ্যের মতো আচরণ করেছে বলেও দাবি করা হয়।

পুলিশ গাড়িতে তুলছে নওসাদকে

এ দিন সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট, ওয়েলফেয়ার পার্টি অফ ইন্ডিয়া, ইন্ডিয়ান মুসলিম লিগ, আজাদ সমাজ পার্টি, সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশন, সব মিলিয়ে প্রায় ২০ টি রাজনৈতিক দল বা সামাজিক সংগঠন একত্রিত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে ৭ দিনের এই গণতান্ত্রিক কর্মসূচি শুরু করেছিল। প্রথম দিনেই পুলিশ কর্মসূচি রুখে দিয়েছে।অনুমতি ছিল না বলেই দাবি করেছে পুলিশ।

আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব

এ দিন আন্দোলনকারীদের শতাধিক নেতাকর্মীকেআটক করে পুলিশ। পরে অবশ্য ছেড়ে দিয়েছে। আটক হওয়া নেতাদের মধ্যে ছিলেন এসডিপিআই-এর রাজ্য সভাপতি হাকিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ডা. কামাল বাসিরুজ্জামান, সম্পাদক মাসুদুল ইসলাম, বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী, যুব ফেডারেশনের মুহাম্মদ কামরুজ্জামান, সমাজকর্মী ইমতিয়াজ মোল্লা, সারোয়ার হোসেন প্রমুখ।

আন্দোলনকারীদের একাংশ 

পুলিশের এ দিনের ভূমিকা নিয়ে বিভিন্ন সংগঠনের তরফে আপত্তি জানানো হয়েছে। জামাআতে ইসলামি হিন্দ, এসডিপিআই, যুব ফেডারেশনের অভিযোগ তৃণমূল মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। তারা নতুন ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে, এসআইআর করতে দেওয়া হবে না। তাহলে গণতান্ত্রিক আন্দোলন রুখতে পুলিশ কেন বল প্রয়োগ করছে? প্রশ্ন তুলেছে দলগুলি। তৃণমূল ছাড়া অন্য কেউ কি পথে নামতে পারবে না? প্রশ্ন তুলেছে আইএসএফ। 

Post a Comment

0 Comments