বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: দিনের পর দিন বদলাচ্ছে গণপরিবহণের চরিত্র। প্রযুক্তি ও সময়ের প্রেক্ষিতে নতুন নতুন অ্যাপস্ আসছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে নামছে নয়া গাড়ি। এতে যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য থাকছে ঠিকই, কিন্তু সাধারণ মানুষের খরচ বাড়ছে দিনের পর দিন। যেখানে বাসে করে যেতে মাত্র ১০ টাকা খরচ পড়ে, সেই জায়গায় বিকল্প পরিবহণ যেমন অটো, ওলা-উবার বা বাইক-ট্যাক্সিতে খরচ অনেক বেশি। এমন অবস্থায় কীভাবে সচল থাকবে গণপরিবহণ, সরকারের পক্ষ থেকে কী কী পদক্ষেপ থাকবে, এইসব নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয় নেহরু চিলড্রেনস্ মিউজিয়ামে। বুধবার দুপুরে সিটি সুবার্বান বাস সার্ভিসেস-এর উদ্যোগে এই আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন পরিবহণ দফতের শীর্ষকর্তা থেকে শুরু করে ট্রাফিক পুলিশের প্রতিনিধি, বাস সিন্ডিকেট, অ্যাপ-ক্যাব ইত্যাদির প্রতিনিধি।
![]() |
ছবি সঞ্জয় দাস |
এ নিয়ে সিটি সুবার্বান বাস সার্ভিসেস-এর সাধারণ সম্পাদক টিটো সাহা বলেন, আমাদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা সরকারকে আমাদের বক্তব্য জানিয়েছি। পুলিশ ও পরিবহণ দফতরের কর্তারা গণপরিবহণকে বাঁচিয়ে রাখার আশ্বাস দিয়েছেন। ১৫ বছরের গাড়ি বাতিল নিয়ে রাজ্য জানিয়েছে যে বয়স নয়, গাড়ির স্বাস্থ্যকেই বিবেচনায় আনা হবে। অন্যদিকে সংযোগ পোর্টালের সমস্যা ও সুবিধা নিয়েও কথা হয়েছে। গণপরিবহণকে বাঁচিয়ে না রাখলে মানুষের সমুহ ক্ষতি হবে, সেই বিষয়টা সমস্ত পরিবহণ সিন্ডিকেটগুলি তুলে ধরেছে আলোচনায়।
এ দিনের সভায় সিটি সুবার্বান বাস সার্ভিসেস-এর পাশাপাশি বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির রাহুল চক্রবর্তী, অ্যাপ-ক্যাব অপারেটর সংগঠনের ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায়, পরিবহণ দফতরের আধিকারিক সৌমিত্র মোহন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরেন। রাজ্যের তরফে ‘হোয়্যার ইজ মাই বাস’ অ্যাপকে উন্নত করা, চালক ও পরিচালকদের প্রশিক্ষণের ব¨োবস্ত করা, দূর্ঘটনা কমানোর জন্য পদক্ষেপ করার আশ্বাস মিলেছে। বৈদ্যুতিন গাড়ির জন্য সরকারের কাছে সহায়তা, সিএনজি বাসের রিফিলিং সমস্যা নিয়েও আলোচনা হয়। বাস্তবতা মেনে বাস ভাড়ার তালিকা নিয়েও দাবি পেশ করা হয়।
তথ্য সৌজন্যে- পুবের কলম
0 Comments