আসিফ রেজা আনসারী
রাজনীতির কারবারীরা নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য মানুষের মধ্যে বিভেদ লাগাচ্ছে আমরা এটা মেনে নেব না আমরা শান্তি চাই। পুলিশকে ইনসাফ প্রতিষ্টা ও সম্প্রীতি রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। রবিবার শান্তি মিছিল থেকে এমনই আওয়াজ তুললেন বারুইপুরের মহিলারা। কিছু দুষ্কৃতকারীর হাতে গুরুতর আহত হন টোটোচালক করিম মোল্লা। সেই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে রবিবার বারুইপুরের শংকরপুর থেকে মগরাহাটের হোটর স্টেশন পর্যন্ত মিছিল হয়। এই মিছিলেই হিন্দু-মুসলিম কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঙ্গাবাজদের বিরুদ্ধে স্লোগান দেন।বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের ডাকা এই মিছিলে কয়েক হাজার নারী ও পুরুষ শামিল হয়েছিলেন।
![]() |
সাম্প্রদায়িক উসকান ও হিংসার বিরুদ্ধে মিছিলে মহিলারা। |
সামনের সারিতে ছিলেন দেশ বাঁচাও সামাজিক কমিটির আহ্বায়ক সমাজকর্মী হোসেন গাজী , মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস-এর রাজ্য সহ-সম্পাদক সুভাষ জানা, অল ইন্ডিয়া তৌহিদী জনতার হাসিবুর রহমান, সমাজকর্মী শামসুর রহমান, সিপিআইএমএল লিবারেশনের রাজ্য কমিটির সদস্য নবকুমার বিশ্বাস, কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী শামীম আহমেদ সমাজকর্মী ও জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক মওলানা শওকত আলী কাসেমী, আইনজীবী এসকে বাবুলাল, খোকন লস্কর, আরিফুল ইসলাম প্রমুখ।
এই শান্তি মিছিলে অংশ নিয়ে মৌসুমী দাস, সালমা খাতুন, সুচেতনতা কয়ালদের বক্তব্য, আমরা শান্তির দাবিতে মিছিলে শামিল হয়েছি। আমরা হিন্দু-মুসলিম জাতপাত বুঝিনা। এ ধরনের ঘটনার প্রকৃত দোষীদের শাস্তি ও এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পুলিশের সক্রিয় ভূমিকা দেখতে চাই। মিছিলে ছিলেন বহু হিন্দু মহিলা। সবার বক্তব্য, আরএসএস-বিজেপির একটা অংশ মানুষের মধ্যে বিভেদ তৈরি করতে চাইছে , আমরা সেটা হতে দেব না। মহিলারা আরও বলেন, যে কোনও রাজনৈতিক বা ধর্মীয় হিংসার ক্ষেত্রে আমরা সব থেকে বেশি নির্যাতনের শিকার হই। তাই অশান্তি রুখে দিলে কোনও সম্প্রদায়েরই সমস্যা হবে না, আমরা সুখে শান্তিতে থাকতে পারবো। যারা অশান্তি পাকিয়ে আমাদের মত গরিব দুঃস্থ বা সাধারণ মহিলাদের জীবনকে দুর্ভোগে ফেলতে চাইছে, তাদের বিরুদ্ধে পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। কোন ধর্মের অপরাধী তা দেখলে হবে না, ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
![]() |
মিছিলে শামিল বিশিষ্টজনেরা। |
একইভাবে শামীম আহমেদ বলেন, প্রশাসন যদি সম্প্রীতি নষ্টের জন্য দোষীদের কড় সশাস্তির ব্যবস্থা না করে তাহলে এমন ঘটনা বাড়বে। একই কথা বলেন হোসেন গাজী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, এক শ্রেণির মানুষ অপরাধীর ধর্মীয় পরিচয় দেখে, এটা করলে চলবে না। অপরাধ করলে সঙ্গে সঙ্গে করা ব্যবস্থা নিতে হবে। তাহলে অন্যরা নতুন করে অপরাধ করার সাহস পাবে না।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার প্যাসেঞ্জার নিয়ে শংকরপুর থেকে হোটর ফেরার পথে আক্রান্ত হয় করিম মোল্লা। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, তাদের বিল্ডার্স দোকানের মাল চুরি করে হনুমান মন্দিরের গেট তৈরির প্রতিবাদ করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছে করিম। সে বর্তমান হাসপাতালে ভর্তি আছে। পুলিশ তদন্ত করছে। ১০জনকে গ্রেফতার করেছে।
0 Comments