কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়: ওবিসি মুসলিমদের বঞ্চনা, আন্দোলনের হঁশিয়ারি কামরুজ্জামানের

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: আগে এসটি বা এসসি'দের জন্য সংরক্ষণ ব্যবস্থা থাকলেও ছিল না মুসলিম–সহ অন্যান্য পিছিয়েপড়াদের কোনও সুবিধা। তারপর মুসলিমদের শিক্ষা ও চাকরিতে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে ওবিসি সংরক্ষণ তৈরি হয়। কিন্তু এক শ্রেণির বিদ্বেষ মনোভাবাপন্ন মানুষ আদালতে ওবিসি সংরক্ষণ বাতিল করার লক্ষ্যে অপচেষ্টা চালায় বলে অভিযোগ। অবশেষে দেশের শীর্ষ আদালত রাজ্য সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ওবিসি সংরক্ষণ মেনে ছাত্র ভর্তি ও চাকরি প্রক্রিয়া করার নির্দেশ দিয়েছে। তারপরই ওবিসি নিয়ম মেনে জয়েন্ট এন্ট্রান্স, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকে ভর্তি, মেডিক্যাল প্রবেশিকা নিট উত্তীর্ণদের কাউন্সেলিং প্রক্রিয় শুরু হয়েছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, অনেক প্রতিষ্ঠান নিয়োগ বা ভর্তিতে নিয়ম মানছেন না। এমনই অভিযোগ সামনে এসেছে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি ভর্তিতে।

প্রতীকী ছবি

এ নিয়ে সারা বাংলা সংখ্যালঘু যুব ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামরুজ্জামান এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন আদালতের নির্দেশকে উপেক্ষা করে সম্প্রতি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের বোটানি ও জুয়োলজি বিষয়ে পিএইচডিতে ভর্তির তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে একজনও মুসলিম-ওবিসি প্রার্থী স্থান পায়নি। এটা বিস্ময়কর! ও উদ্বেগজনক।আমাদের দাবি অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে ওবিসি মুসলিমদের সংরক্ষণের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পুনরায় তালিকা প্রকাশ করুক। এভাবে ওবিসি মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের বঞ্চিত করা যায় না। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এভাবে ধ্বংস হতে দেওয়া যাবে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা না করলে এর বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে লড়াইতে নামতে বাধ্য হবো।

কামরুজ্জামান আরও বলেন, এর আগেও কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় একাধিক বিষয়ে ওবিসি মুসলিমদের অবহেলা করলে আমরা সরাসরি কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলেছি এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গেও কথা বলেছি। তারপরে সে বিষয়ে সূরাহা হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ পুনর্বিবেচনাও করেছে। তাই পিএইচডিতে ওবিসি মুসলিমদের এই অবহেলা নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে এ নিয়ে সিদ্ধান্ত বদল করুক না হলে আমরা পূর্বের ন্যায় আবারও ময়দানে নেমে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।

Post a Comment

0 Comments