মনিরুল ইসলাম
বুধবার দিবাগত রাতে কলকাতার শিয়ালদহে ১২ বাঙালি ছাত্রকে রক্তাক্ত করল বিহারিরা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের একমাত্র সংখ্যালঘু হস্টেলের আবাসিকদের "বাংলাদেশি" দাগিয়ে হিন্দিতে অকথ্য গালিগালাজ করা হয়। ছুরি, লাঠি রড, হকি স্টিক এমনকী পিস্তল দিয়ে মারধর করার অভিযোগ সামনে এসেছে।
জানা গিয়েছে, কারমাইকেল হস্টেলের কয়েকজন রাত ৯ টা সাড় ৯টার দিকে শিয়ালদহ শিশির মার্কেটে মোবাইলের কভার কিনতে গিয়েছিল। পছন্দ না হওয়ায় তারা যখন ফিরে আসছিল তখন দোকানদার 'কৃষ্ণা' ও তার বন্ধু হিন্দিতে বলতে শুরু করে যে, 'এরা মুসলিম কিছু কিনবে না। শুধু দেখবে'। এরপরই বাংলাদেশি, রোহিঙ্গা, কাটুয়া ও মোল্লা বলে গালাগালি দিতে শুরু করে। কেন অযথা গালাগালি দেওয়া হবে প্রশ্ন করতেই শুরু হয় মারধর। প্রথমে তিন-চারজন পড়ুয়া গুরুতর আহত হয়। খবর পেয়ে অন্য কয়েকজন উদ্ধার করতে এসে তাদেরও আক্রমণের মুখে পড়তে হয়।
![]() |
মুচিপাড়া থানার সামনে আবাসিকদের একাংশ। |
ততক্ষণ পুলিশ আসে। হস্টেলের বাকি পড়ুয়ারা আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসার বন্দোবস্ত করা হয়। কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। গাল, পিঠ, গলায় চুরির আঘাত লাগে বলে অভিযোগ। রাতেই মুচিপাড়া থানা ঘেরাও করে হস্টলের আবাসিকরা। তার বুধবার দিবাগত ১০টা থেকে বৃহস্পতিবার ভোর ৪ টা পর্যন্ত থানার সামনে থেকে লিখিত অভিযোগ জমা করে পড়ুয়ারা। পুলিশ দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির আশ্বাস দিয়েছে।
এ দিন রাতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের অভিরুপ চক্রবর্তী, এসএফআই বা ডিওআইএফআই-এর প্রতীকউর রহমান, দেবাঞ্জন দে, বাংলা পক্ষর গর্গ চট্টোপাধ্যায় সকলেই থানায় যান। দোষীদের গ্রেফতারি ও শাস্তির দাবিতে সবাই সরব হন। হস্টেলের প্রাক্তনী রাতেই থানায় হাজির হয়ে বর্তমান পড়ুয়াদের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। তাদের মধ্য অনেকেই আইনজীবী। ছিলেন অ্যাডভোকেট মিজানুল কবীর, অ্যাডভোকেট আসিফ রেজা আনসারী, অ্যাডভোকেট ওয়াসিম আকরাম, কৃতী আবাসিক মাসুদ, রাইহান প্রমুখ।
0 Comments