জাহানারা খাতুন
কোনও অন্যায়কে বরদাস্ত করা হবে না। নিশ্চয়ই দোষীদের কঠোর শাস্তির উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবে কলকাতা পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয় সবকিছু খতিয়ে দেখছে। বৃহস্পতিবার এমনই বার্তা দিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়গুলির হস্টেলের ইনচার্জ তথা ডিআইসি ও বোর্ড অফ রেসিডেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ড. সুবল কুমার। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের মারধরের ঘটনা জানতে পেরেই তিনি কারমাইকেল হস্টেলে যান। বৃহস্পতিবার আহত পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলেন এবং সবার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন।
তিনি বলেন, একটি ঘটনা আমাদের নজরে এসেছে , আমরা সব দিক খতিয়ে দেখছি। আবাসিকদের সঙ্গে যা ঘটেছে তার জন্য পুলিশ নিশ্চয়ই কঠোর ব্যবস্থা নেবে , এটা আমাদের বিশ্বাস। হস্টেলের ভেতরে এবং বাইরে যাতে সমস্ত আবাসিক পড়ুয়া নিরাপদে থাকতে পারেন, হস্টেল সুপারদের নিয়ে সেই বিষয়ে বিশেষ বৈঠক হয়েছে। প্রশাসনের সঙ্গেও কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি বিস্তারিত জানিয়েছি। কোনও অন্যায়কে বরদাস্ত করা হবে না।
![]() |
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মিছিল। ইনসেটে ডিআইসি ও বোর্ড অফ রেসিডেন্সের দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক। |
এ দিকে কলকাতার বুকে মুসলিম পড়ুয়াদের রোহিঙ্গা ও বাংলাদেশি বলে তকমা দিয়ে আক্রমণ করার ঘটনায় ইতিমধ্যেই মুচিপাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। দীপক কুমার সাউ (২৯) ও ইমতিয়াজ আলি (৩৫) নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তাদের ৫ দিনের পুলিশ হেফাজত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে বৈঠকখানা রোডের কারমাইকেল হস্টেলের কয়েকজন রাত ১০ টার দিকে শিয়ালদহের শিশির মার্কেটে মোবাইলের কভার কিনতে গিয়েছিল। জিনিস পছন্দ না হওয়ায় তারা যখন ফিরে আসছিল তখন এক দোকানদার ও তার বন্ধু হস্টেলের আবাসিকদের বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গা বলে তকমা দিয়ে আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয়েছে বাংলা পক্ষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিয়ালদা অঞ্চলে জমায়েত করে বিক্ষোভ জানায় সেই সংগঠন। একইভাবে কলেজ স্ট্রিট এলাকায় পথে নেবে বিক্ষোভ দেখিয়েছে বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই। বাংলা ভাষায় কথা বললে এভাবে বাংলাদেশি দাগিয়ে দেওয়ার বিরুদ্ধে সরব হন সবাই। হস্টেলের প্রাক্তনীরাও তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
0 Comments