মাদ্রাসার ভুতুড়ে শিক্ষক ধরার দাবিতে পর্ষদ অভিযান ফোরামের

জাহানারা খাতুন

পশ্চিমবঙ্গ সরকার পোষিত হাইমাদ্রাসা ও সিনিয়র মাদ্রাসায় আইনের ফাঁক গলে বহু ভুতুড়ে শিক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। তাদের অনেকেই শিক্ষকতার সঙ্গে যুক্ত নয়। কেউবা খাতায়-কলমে দেখানো হলেও আদালত নিযুক্ত কমিটির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে যে তারা ভুতুড়ে শিক্ষক। এই শিক্ষকরাই আবার বেতনের দাবি জানিয়ে শীর্ষ কোর্টে মামলা করেছে। এই ডামাডোল পরিস্থিতিতে ভুতুড়ে শিক্ষক ধরা এবং ন্যায্য পথে নিয়োগের দাবিতে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের অফিস মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ভবন অভিযান করল মাদ্রাসা এডুকেশন ফোরাম। শুক্রবার দুপুরে সল্টলেকে মাদ্রাসা পর্ষদের অফিস অভিযান হয়। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় হাজারখানেক শিক্ষক পর্ষদের কাছে বিক্ষোভ দেখান।

পর্ষদ সভাপতির হাতে দাবিপত্র তুলে দিচ্ছেন ফোরামের সদস্যরা। 

মাদ্রাসায় এডুকেশন ফোরামের দাবি, ভুতুড়ে শিক্ষক নিয়োগে সরকারি ৯০০কোটি টাকা তছরূপে বিরুদ্ধে অবিলম্বে সিবিআই বা সিআইডি তদন্ত করতে হবে। বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী রাজ্য সরকারকে অবিলম্বে ভুতুড়ে শিক্ষক ও নিয়োগকর্তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে হবে। মাদ্রাসা কমিশনের প্রথম স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্ট গ্রুপ-ডি এবং সপ্তম স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টের ভিত্তিতে শিক্ষক নিয়োগ দ্রুত সম্পন্ন করতে হবে।

 মাদ্রাসা পর্ষদের অফিস ঘেরাওয়ের খণ্ডচিত্র

এছাড়াও দাবি করা হয়েছে, অনুমোদনহীন চুয়াডাঙ্গা মাদ্রাসায় ভুতুড়ে শিক্ষকদের বেতন কিভাবে হচ্ছে? বোর্ড ও ডাইরেক্ট অফ মাদ্রাসা এডুকেশনকে জবাব দিতে হবে। ভুতুড়ে শিক্ষক নিয়োগের সঙ্গে যুক্ত, মাদ্রাসার প্রধান, ডিআই অফিসের স্টাফ ও মাদ্রাসা দফতরের পদাধিকারী, কর্মী-সহ সবাইকে দ্রুত বহিষ্কার করতে হবে। রাজ্যে যে সমস্ত মাদ্রাসায় অনৈতিকভাবে পরিচালন সমিতি কাজ করছে, সেগুলিতে দ্রুত প্রশাসক নিয়োগ করতে হবে। ২০১৬ সালে নোটিফিকেশন বাতিল ও ২০০২ সালে পরিচালন সমিতির রুলস পরিবর্তন করতে হবে। প্রধান শিক্ষককের নিয়োগের বিজ্ঞাপন ও পিতৃকালীন ছুটির সরকারি নির্দেশিকা প্রকাশ করতে হবে। মাদ্রাসায় কর্মরত আইসিটি শিক্ষকদের স্থায়ী করতে হবে বলেও দাবি তোলা হয়েছে। 

Post a Comment

0 Comments