বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: একটা সময় সারা বিশ্বে ফাউন্ড্রি শিল্পে ভারতের স্থান ছিল প্রথম। বর্তমানে সেই গৌরব হারিয়েছে ভারত। বিশ্ব বাজার দখল করেছে প্রতিদ্বন্দ্বী দেশ চিন। আগামীতে সেই গৌরব যাতে ফিরিয়ে আনা যায়, একইসঙ্গে বাংলার এই ফাউন্ড্রি শিল্প যাতে গোটা দেশের সেরা হতে পারে তেমন একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এই সামগ্রিক বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যেতে বিশেষ উদ্যোগ দেখা দিল কলকাতায়। শুক্রবার ভারতের ফাউন্ড্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় সংস্থা ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ফাউন্ড্রিমেন, তার কলকাতার সেন্টারে জাতীয় রফতানি প্রচার কেন্দ্র চালু করে। এই নতুন সেন্টার অফ এক্সেলেন্স যোগ দিল চেন্নাইতে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কেন্দ্র, পুনের জাতীয় প্রযুক্তিগত পরিষেবা কেন্দ্র ও নয়াদিল্লির ফাউন্ড্রি ইনফরমেটিক্স সেন্টার।
![]() |
Image credit IIF |
এ নিয়ে রাজ্যের শিল্প, বাণিজ্য ও উদ্যোগের প্রধানসচিব বন্দনা যাদব উদ্ভাবন ও টেকসই উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমাদের রফতানি ইতিমধ্যে দৃঢ় বৃদ্ধির দিকে এগিয়ে চলছে। শুধু পণ্য রফতানি গত বছরে প্রায় ১১.৬৮ বিলিয়ন ডলার স্পর্শ করেছে। তিনি আরও বলেন, ফাউন্ড্রি খাতকে তার দক্ষতা বজায় রেখে উদ্ভাবন করতে হবে এবং নতুন প্রজন্মকে আকৃষ্ট করতে হবে।তিনি জাতীয় রফতানি প্রচার কেন্দ্রকে একটি সেতু হিসেবে উল্লেখ করেন, যা প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, ঐতিহ্যবাহী দক্ষতার উন্নয়ন এবং বৃহত্তর দৃশ্যমানতা নিশ্চিত করছে।
অন্যদিকে সংস্থার জাতীয় রফতানি কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় বুধিয়া, বলেন, জাতীয় রফতানি প্রচার কেন্দ্রের উদ্বোধন ইন্সটিটিউট অফ ইন্ডিয়ান ফাউন্ড্রিমেনের দৃঢ় প্রত্যয় ও দূরদৃষ্টির প্রতীক যা ভারতীয় ফাউন্ড্রি শিল্পকে বৈশ্বিক খ্যাতির পথে চালিত করছে। সঠিক দৃষ্টি ও সম্পদ দিয়ে এই কেন্দ্র ভারতকে উচ্চমানের কাস্টিংয়ে নির্ভরযোগ্য নেতা হিসেবে স্থাপন করবে, যা আত্মনির্ভরতা ও অর্থনৈতিক বৃদ্ধির জাতীয় উদ্দেশ্যগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
আর নবনিযুক্ত জাতীয় রফতানি প্রচার কেন্দ্রের চেয়ারম্যান রবীন্দ্র প্রকাশ সেহগালের কথায়, পূর্বাঞ্চলে একটি নিবেদিত এক্সেলেন্স সেন্টারের প্রয়োজন থেকেই জাতীয় রফতানি প্রচার কেন্দ্রের ধারণাটি এসেছে। একইভাবে নবনীত আগরওয়াল, বিজয় বেরিওয়াল প্রমুখ নিজেদের মতামত তুলে ধরেন।
0 Comments