জোর করে ভোটের ডিউটি ও পদোন্নতিতে বৈষম্যের অভিযোগ চিকিৎসকদের

আসিফ রেজা আনসারী 

একাধিক দাবিতে রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব, বিশেষ সচিব ও ডিএইচএসকে ডেপুটেশন দেয় চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন ফর হেলথ সার্ভিস ডক্টরস। সংগঠনের দাবি, দ্রুত প্রমোশন লিস্ট বের করতে হবে। অভিযোগ, বছরে দুইবার প্রমোশন হওয়ার কথা, কিন্তু তা করা হয় না। অদ্ভুতভাবে প্রমোশনের ইন্টারভিউ ৪ মাস আগে শেষ হয়ে গেলেও এখনও লিস্ট বেরোয়নি।

অভিযোগ, একজন চিকিৎসক, যিনি চলমান লোকসভা নির্বাচনে শাসকদলের ক্যান্ডিডেট হয়েছেন, তিনি যাতে প্রমোশন পেয়ে, অবসরের পূর্ণ আর্থিক বেনিফিট নিয়ে নির্বাচনে দাঁড়াতে পারেন, সেই উদ্দেশ্যে সমস্ত বিভাগকে টপকে, শুধুমাত্র একটি বিষয়ে প্রমোশন লিস্ট বার করা হয়েছে। এই ন্যক্কারজনক স্বজনপোষণের তীব্র নিন্দা জানানো হয়। শিক্ষক চিকিৎসকের অভাবে যেখানে পঠনপাঠনের উপর গুরুতর প্রভাব পড়ছে, সেখানে দ্রুত বাকি বিষয়গুলির প্রমোশন লিস্ট বার করার দাবি জানানো হয়। তবে তারা জানিয়েছেন নির্বাচনী আচরণ বিধির কারণে লিস্ট রেডি থাকলেও এখনই বের করা যাচ্ছে না।

Photo by Source

মামলার সময় যাতে চিকিৎসকদের আদালতে না গিয়ে টেলি এভিডেন্স চালু করা হয় সেই দাবিও জানানো হয়েছে। সাধারণ মানুষের চিকিৎসায় ব্যাঘাত না ঘটিয়ে ডিউটিরত অবস্থাতেই একজন চিকিৎসক যাতে প্রয়োজনীয় সাক্ষী দিতে পারেন তার জন্যে টেলি এভিডেন্সের দাবি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আগেই করা হয়েছিল। 

অন্যদিকে টেলি মেডিসিনে নানা অসঙ্গতি দূর করা, মেডিক্যাল টিমের সদস্যদের প্রাপ্য মর্যাদার দাবি, চিকিৎসকদের ইলেকশন ডিউটি থেকে অব্যাহতির কথাও তুলেছে সংগঠন। অভিযোগ, নিয়ম বহির্ভূতভাবে রাজ্যের চিকিৎসকদের নির্বাচনের ডিউটিতে পাঠানো হচ্ছে। আগে মুখ্যসচিব আদেশনামায় জানিয়েছিলেন জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের নির্বাচনী ডিউটির বাইরে রাখা হবে। কিন্তু ফের কয়েকটি হাসপাতাল ও মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকদের নির্বাচনের ডিউটিতে পাঠানোর আদেশনামা বের হয়েছে বলে অভিযোগ। পাশাপাশি ডা. সত্যজিৎ চক্রবর্তী ও ডা. পান্থ দাশগুপ্তর অবসর পরবর্তী বেনিফিট আটকে রাখার বিষয়েও কথা বলেন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

Post a Comment

0 Comments