সাম্প্রদায়িকতা, আর্থিক ও শিক্ষা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ভোট হোক, দাবি প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠনের

অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায় 

আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে দেশ তথা রাজ্য–রাজনীতি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে তাদের দলের প্রার্থীদের নাম। শুরু হয়ে গেছে প্রচার। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একে–অপরের বিরুদ্ধে শাণিত করছে তাদের রণনীতি কিন্তু প্রশ্ন এখানেই যে মানুষের স্বার্থ কতটা সুরক্ষিত, আপামর সাধারণ মধ্যবিত্ত -নিম্ন মধ্যবিত্ত বা খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থান কি? এই সমস্ত বিষয়কে নিয়েই ৪এপ্রিল আন্তর্জাতিক মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক–শিক্ষিকাদের নিয়ে সংগঠিত হয়েছিল একটি মনোরম আলোচনাসভা। সেই সভায় বারবারই এই কথাই উঠে আসে যে সবার পেটের ভাতের ব্যবস্থা, সুস্থ ও নিরাপদ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা সরকারকেই করতে হবে। শুধুমাত্র মুখে 'গ্যারান্টির ' কথা প্রচার করলে চলবে না, অবিলম্বে তা কার্যকরী করে তুলতে হবে। নেতা–নেত্রীদের যে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে তার নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানানো হয় এবং এই দুর্নীতি আরও কতটা গভীরে জাল বিস্তার করেছে তা তুলে ধরার দাবি জানানো হয়।

আলোচনায় দুর্নীতির রাঘব বোয়ালদের উপযুক্ত শাস্তি এবং আর্থিক জরিমানার দাবি জানানো হয়। 'বেকার ভাতা ' প্রদান করে শুধুমাত্র ক্ষতে প্রলেপ নয়, অবিলম্বে শিল্প স্থাপন ও আর্থিক কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয়তা বারবার উঠে আসে আলোচনাসভায়। শিক্ষা দূর্নীতি, রাজনীতি মুক্ত শিক্ষাঙ্গন, অধ্যক্ষ, বিভাগীয় প্রধান, আচার্য, উপাচার্য প্রভৃতি পদগুলিকে বিগত কয়েক বছর ধরে যে রাজনীতির রঙে রাঙানো হচ্ছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। সভায় উঠে আসে যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংগঠনের তরফ থেকে আবেদন জানানো হবে যে শিক্ষার প্রসারে, ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নতির লক্ষ্যে রাজনীতি মুক্ত শিক্ষাঙ্গন গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যাতে নতুন কোনো আইন পাশ করা হয়। এই নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয় সাধারণ মানুষ যাতে তাদের ভোট সুষ্ঠু ও সুরক্ষিতভাবে দিতে পারে প্রশাসনের কাছে সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়। সংগঠনের তরফে রাজ্যের সমস্ত মানুষের কাছে আবেদন করা হয় যাতে এই নির্বাচনে প্রতিটি ভোট পড়ে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, ঐক্য মৈত্রী ও সাম্যের পক্ষে, ধর্মীয় ভেদাভেদের বিরুদ্ধে ও আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে।

Post a Comment

0 Comments