বাইরে পড়ে রয়েছে শতশত আধার কার্ড, 'যার জিনিস খুঁজে নিন' পোস্ট মাস্টারের জবাবে হতবাক জনতা

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: কিছুদিন আছে আধার কার্ড বাতিল হওয়া নিয়ে চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন হাজার হাজার মানুষ। আপাতত আধার বাতিল স্থগিত থাকলেও মানুষের মনে ভয় রয়েই গিয়েছে। তাই কেউ কেউ নাম–ঠিকানা সংশোধন করিয়ে নিচ্ছেন, কারও নাম নতুন আধার করানোর থাকলে তা করাচ্ছেন। আর এগুলি সবার বাড়িতে পৌঁছে যাচ্ছে ভারতীয় ডাক বিভাগের মাধ্যমে। দেশের সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে ডাক বিভাগ বা পোস্ট অফিসের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু আশ্চর্যজনক ঘটনার সাক্ষী থাকতে হচ্ছে মালদা জেলার সুজাপুরের বাসিন্দাদের। অভিযোগ, পোস্ট অফিসের বাইরেই পড়ে থাকছে শত শত আধার কার্ড। নেই নিরাপত্তার বন্দ্যোবস্ত। সেই পড়ে থাকা আধারের মধ্যে কারও কার্ড আছে কিনা জানতে চাইলে, উত্তর আসছে– ''যার জিনিস খুঁজে নিন''। এখানেই আপত্তি তুলছেন আমজনতা। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন পোস্ট অফিসের কাজ বাড়িতে আধার বা চিঠি পৌঁছে দেওয়া কিন্তু আবর্জনার স্তূপের মতো বাইরে ফেলে রাখা হচ্ছে কেন? এই প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ। 

Representative Photo but Inset Original situation 

মঙ্গলবার সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে সমাজকর্মী হালিম হক ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন। তিনি ভিডিয়ো পোস্ট করে লেখেন, ভিডিয়োটা সুজাপুর পোস্ট অফিসের আজকের চিত্র। পোস্ট অফিসের বাইরের বারান্দায় এভাবেই ফেলে রাখা হয়েছে আমার-আপনার আধার কার্ড। প্রশ্ন করায় উত্তর আসে এখান থেকে চেক করে নিন। থাকলে পেয়ে যাবেন। এখন প্রশ্ন হলো এই মুল্যবান ডকুমেন্টস যদি অন্য কেউ নিয়ে চলে যায় তখন কি হবে? পিওনের তো কিছুই হবে না কিন্তু আমার-আপনার হয়রানি বাড়বে, খরচ বাড়বে

আর বাড়ছেও। তিনি আরও লিখেছেন, পোস্ট অফিস ব্যাঙ্কে দালালচক্রের কথা নাইবা বললাম।মানুষ হয়রানি থেকে বাঁচতে মালদা আধার সেবা অফিস থেকে শুরু করে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক আর আধার সেন্টারে দৌড়ে বেড়াচ্ছেন আধার–সহ বিভিন্ন ডকুমেন্টর সংশোধনের জন্যে। সংশোধন করার পরে অনলাইন ঠিক হলেও অফলাইনে পিওন মারফত বাড়ি পৌছাচ্ছে না। হয় পিওন কোথাও ফেলে দিচ্ছে আর না হয় এভাবেই পড়ে থাকা স্তুপ থেকে যে কেউ তুলে নিয়ে গিয়ে রেখে দিচ্ছে বা ফেলে দিচ্ছে। তাহলে পোস্ট অফিসে পিওনের দায়িত্ব কি? সে কি দায়িত্ব পালন করছে?

কিছু কিছু৷ ডকুমেন্টস আবার অন্য এক ছেলেকে দিয়ে পৌঁছাচ্ছে, সেই ছেলে বা ব্যক্তি আবার পৌঁছে দেওয়ার জন্যে আলাদা চার্জ দাবি করছে বলেও অভিযোগ করেন হালিম হক। তিনি আরও লেখেন, আমি আমার বাবার আধার কার্ড খুঁজতে গিয়ে আজকে এই অবস্থা দেখতে পেলাম। প্রায় আট মাস আগে কার্ড সংশোধন হয়ে গেলেও এখনও অরিজিনাল কার্ড বাড়িতে পৌঁছায়নি।

Post a Comment

0 Comments