আল-কুদস দিবসে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ এসআইও'র

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: ইসরাইলের চালানো হত্যালীলায় জর্জরিত নিরীহ ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ানো এবং তাঁদের অসহায় পরিস্থিতিকে দুনিয়ার মানুষের সামনে তুলে ধরার লক্ষ্যে শুক্রবার ধর্মতলায় স্টেটসম্যান হাউসের সামনে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন করল ছাত্র সংগঠন এসআইও'র পশ্চিমবঙ্গ শাখা। উল্লেখ্য, প্রতি বছর রমযান মাসের শেষ শুক্রবার ইয়াওম-আল-কুদস বা আল-কুদস্ দিবস হিসেবে পালিত হয়ে থাকে। ১৯৪৮ সালের নাকবা থেকে শুরু করে বর্তমান সময় পর্যন্ত জায়নবাদ কর্তৃক ফিলিস্তিনি জনগণের উপর চালানো নির্যাতন, গণহত্যা, আল-আকসা আক্রমণ ও ইসরাইল রাষ্ট্রের অবৈধ দখলদারির বিরুদ্ধে বিক্ষোভে প্রকাশের জন্যেই এই দিনটি পালন করা শুরু হয়। 

এ দিন কর্মসূচি নিয়ে সংগঠনের সভাপতি সাইদ বি এস আল মামুন বলেন, “আল-আকসা মসজিদ গোটা দুনিয়ার মুসলমানদের জন্য একটি পবিত্র স্থান। তা রক্ষার করার দায়িত্ব শুধু ফিলিস্তিনি বা আরবদের নয় বরং দুনিয়ার সকল মুসলমানদের জন্য ফরয। ফিলিস্তিনের স্বাধীনতা এবং সেখানে ন্যায় ও সুবিচার প্রতিষ্ঠা দুনিয়ার সকল ন্যায়বান মানুষের দায়িত্ব। দুনিয়ার সকল স্বাধীনতাপ্রেমী মানুষদেরকে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকে নিজেদের মিশন বানিয়ে নিয়ে, তার জন্য চেষ্টা-প্রচেষ্টা করা উচিত।“

নিজস্ব চিত্র 

সংগঠনের রাজ্য সম্পাদক ডা. এহসানুর রহমান বলেন, “ইসরাইল একটি দখলীকৃত রাষ্ট্র। ১৯৪৮ সালে যে বাউন্ডারি নিয়ে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তখনও এটা দখলীকৃত ছিল এবং এখনও তা প্রতিনিয়ত পুরো ফিলিস্তিনকে কবজা করার জন্য লেগে আছে। ইসরাইল ভয়ংকর যুদ্ধ সৃষ্টিকারী একটি রাষ্ট্র যা শিশু, বৃদ্ধ এবং নারীদেরকে হত্যা করার পাশাপাশি হাসপাতালে বোমাবর্ষণ করে।”

সংগঠনের রাজ্য পরামর্শ পরিষদের সদস্য মুহাম্মদ নাদিম বলেন, “ইসরাইল একটি সন্ত্রাসবাদী রাষ্ট্র। তার অবৈধ অস্তিত্ব দুনিয়াজুড়ে যুদ্ধের দামামা বাজিয়ে রাখবে সর্বদায়। অন্যের দেশে অন্যায়ভাবে প্রবেশ করে বিরোধীদেরকে নিজেদের টার্গেট বানানো থেকে নিয়ে তাদের ধনসম্পদ লুট করা তাদের কাছে সাধারণ ব্যাপার। সম্প্রসারণবাদী উচ্চাকাঙ্ক্ষা দ্বারা চালিত হয়ে ইসরাইল পুরো মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে আধিপত্য বিস্তার করতে চাওয়া একটি রাষ্ট্র।”

সংগঠনের শিক্ষাঙ্গন সম্পাদক তথা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র যুবায়ের আহমেদ বলেন, “দীর্ঘ চেষ্টা-প্রচেষ্টার পর আমাদের দেশ ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছিল। ভারতীয়রা জানে স্বাধীনতার মূল্য। ভারত সর্বদা ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সমর্থন করে এসেছে। আজও প্রত্যেক ভারতীয়দের অবশ্য কর্তব্য হচ্ছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার সংগ্রামে সাথ দেওয়া।” 

অন্যদিকে এসআইও আলিয়া বিশবিদ্যালয় ইউনিটের পক্ষ থেকে  জুম্মার নামাযের নিউটাউন ক্যাম্পাসে ফিলিস্তিনিদের সাথে একাত্মতা ও ইজরাইলী বর্বরতার বিরুদ্ধে মানববন্ধন আয়োজন করা হয়। সেখানে বিশবিদ্যালয়ের ছাত্ররা আংশগ্রহন করে।

Post a Comment

0 Comments