রাজ্যের বহু স্কুলেই পৌঁছায়নি সরকারি বই, পঠনপাঠন নিয়ে সমস্যা

আসিফ রেজা আনসারী

বেশ কয়েক বছর ধরে রাজ্যে জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হচ্ছে শিক্ষাবর্ষ। প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত এই জানুয়ারি মাসকেই ধরা হয় শিক্ষাবর্ষের প্রথম মাস এবং সে হিসেবে পঠনপাঠন হয় পশ্চিমবঙ্গে। পড়াশোনার জন্য রাজ্য সরকারের তরফে সরবরাহ করা হয় বই। অধিকাংশ বই পর্ষদের তরফে প্রকাশিত হয় এবং সেগুলো পড়ুয়াদের দেওয়া হয়। প্রত্যেক স্কুলের চাহিদা মত বই সরবরাহ করে থাকে সরকার। কিন্তু অভিযোগ উঠছে জানুয়ারি চলে যাওয়ার পর ফেব্রুয়ারি মার্চ প্রায় অর্ধেকটা হয়ে গেল অথচ বহু স্কুল সম্পন্ন বই পায়নি। আর এর ফলে পঠনপাঠন ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন প্রধানশিক্ষকরা। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক হুগলি জেলার একটি মাদ্রাসার প্রধানশিক্ষক অভিযোগ করেন, তার স্কুলে বইয়ের যে প্রয়োজন রয়েছে সাড়ে চারশ কিন্তু সরকারিভাবে পাঠানো হয়েছে ২৮০টি। এভাবে তিনি একটি উদাহরণ দেন। এরকম অনেক স্কুলেই নাকি পর্যাপ্ত বই দেওয়া হয়নি আর পর্যাপ্ত বইয়ের জন্য শিক্ষা দফতরের আধিকারিকদের কাছে বারবার অনুরোধ করার পরেও নাকি সদর্থক কোনও সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। সামগ্রিক এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে রাজ্যের প্রধানশিক্ষক সংগঠনের প্রধান চন্দন মাইতি বলেন, এখনও পর্যন্ত সমস্ত বই আমরা পাইনি। আমার স্কুলেও একই ঘটনা ঘটেছে। বারবার চিঠি দেওয়ার পরেও পর্যাপ্ত বই পাওয়া যাচ্ছে না। এতে কতটা পড়াশোনা ক্ষতি হচ্ছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, অসুবিধা তো হচ্ছেই কারণ ছেলেদেরকে বোঝানো যাচ্ছে না। কেউ বই পেয়েছে কেউ পায়নি ছাত্রদের মধ্যে ভুল বার্তা যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, সবাই আমাদের ছাত্র, আমরা স্কুলের প্রধানশিক্ষক বা অভিভাবক হিসেবে তাদের যে ক্ষতি হচ্ছে এটা অনুভব করতে পারছি, এতে কোনও সন্দেহ নেই। আশা করব শিক্ষা দফতরের প্রশাসনে যারা রয়েছেন তারা দ্রুত সমস্যা সমাধান করবেন।

Post a Comment

0 Comments