রামমন্দিরের পর 'খাপ' পঞ্চায়েতের পক্ষেও জোরালো সওয়াল উপ-রাষ্ট্রপতির

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: আধুনিক মনষ্কতা ও প্রগতির ক্ষেত্রে 'খাপ' একপ্রকার অন্তরায়। একথা বারবার বিভিন্ন সংবাদপত্রের পাতায় ফুটে উঠেছে। কিন্তু এবার এই খাপ পঞ্চায়েতের পক্ষেই শাওয়াল করলেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর। শনিবার হরিয়ানা সরকারের দশ বছর পূর্তি উপলক্ষে এক বইয়ের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে খাপ পঞ্চায়েতের পক্ষে সওয়াল করেন দেশের উপরাষ্ট্রপতি। তার কথায়, এই খাপ পঞ্চায়েত অবশ্যই একটি অহংকারের বিষয়। এর গভীর সভ্যতার সঙ্গে সম্পৃক্ত আছে বলেও দাবি করেন তিনি। 

এ দিন দেশের উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর বলেন, আমাদের সংস্কৃতির দিকে দেখুন, আমাদের খাপের প্রেক্ষিত-এর দিকে দেখুন, অবশ্যই আপনি এর ইতিবাচক দিক দেখতে পাবেন। দু-একটি বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে দিয়ে এই খাপ পঞ্চায়েতের মূল্যায়ন করা অসম্ভব। তিনি এখানেই থেমে থাকেননি তার কথায়, হরিয়ানায় যে আখড়া রয়েছে এরও একটি গৌরবময় ইতিহাস রয়েছে। 

File Photo From VP website

এ দিন ফরিদাবাদে একটি বইয়ের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখছিলেন জগদীপ ধনকর। অনুষ্ঠানে ছিলেন ছিলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খাট্টার এবং রাজ্যপাল বান্দারু দাত্তারিয়া। এ দিন উপরাষ্ট্রপতি দাবি করেন, গত ১০ বছরে দেশ অনেকটাই এগিয়েছে। এর পেছনে অনেক কারণ আছে। প্রথমত দুর্নীতি যা আগে অহরহ ঘটনা ছিল এবং অর্থনীতির দিক থেকে দেশ খারাপ পাঁচটি দেশের মধ্যে ছিল। আর বর্তমানে ভারত বিশ্বের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশ। এ প্রসঙ্গে তিনি কানাডা, ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের নামও করেন। তার দাবি, ভারত অবশ্যই তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হবে। তার কথায়, দুর্নীতি উন্নয়নকে ব্যাহত করে। আগে দেশে অনেক মধ্যস্বত্ব ভোগী ছিল, যা বর্তমানে বিলুপ্ত হয়েছে। তার কথায়, দেশ গণতন্ত্র এবং আইনের চোখে সবাইকে সমান করার দিকে এগিয়েছে। আগে এগুলোর কিছুই ছিল না। 

এ দিকে রামমন্দির প্রসঙ্গে উপরাষ্ট্রপতির বক্তব্য, বিগত পাঁচ দশক ধরে আমাদের অসংখ্য বাধা-বিপত্তি পেরতে হয়েছে। কিন্তু এই ২২ জানুয়ারি অবশেষে সুফল মিলেছে। তার কথায়, 'এটাই সত্য এবং আইনের শাসন।' ৩৭০ ধারা এবং ৩৫এ এ তুলে দেওয়ার পক্ষে তিনি সাওয়াল করেন। তার দাবি, কাশ্মীরের এই বিশেষ সুবিধা তুলে দেওয়াতে বহু সংখ্যক পর্যটক সেখানে যাচ্ছেন। তার দাবি, ভারত সম্পূর্ণ বদলে গেছে। চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে। 


দেশের উপরাষ্ট্রপতি মনে করেন, দেশে কিছু বিভ্রান্ত লোক আছে। যখন 'ভারতীয়তা' ইস্যুটি আসে তখন তাদের হজম শক্তি দুর্বল হয়। তারা জাতীয় অনুভূতিতে পরিপূর্ণ নয়। তারা দেশে এবং বাইরে আমাদের প্রতিষ্ঠান ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে কলঙ্কিত, কলঙ্কিত ও হেয় করতে চায়। আজ কোনও ভারতীয়র নীরব থাকার দরকার নেই এবং এই ধরনের কাজগুলির মোকাবিলা করতে হবে। আমরা গর্বিত ভারতীয়। আমরা আমাদের ঐতিহাসিক অভূতপূর্বউন্নতির জন্য গর্বিত। 

Post a Comment

0 Comments