বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: বিমান বাতিল অথবা বিমান যাত্রায় বিলম্ব ঘটলে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাটিকে যাত্রীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অসামরিক বিমান পরিবহণ সংক্রান্ত মহানির্দেশনালয়-(ডিজিসিএ)-র জারি করা অসামরিক বিমান পরিবহন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় শর্ত-(সিএআর)-এর বিভাগ তিন, ক্রম-এম, পর্ব চার মোতাবেক “বোডিং-এ সুযোগ না দেওয়া, বিমান বাতিল অথবা বিমান চলাচলে বিলম্বের কারণে সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাটিকে যাত্রীদের নানাবিধ সুবিধা প্রদান করতে হবে।” সিএআর নির্দেশিত সংস্থান মোতাবেক বিমান সংস্থাটিকে যাত্রীদের যে সব সুবিধা প্রদান করতে হবে তা হল যথাক্রমে :
১. বিমান বাতিল হলে বিমান সংস্থাটিকে বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা করতে হবে অথবা বিমান ভাড়া পুরোটাই ফিরিয়ে দেওয়া ছাড়াও ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। এছাড়াও সংশ্লিষ্ট বিমান ধরতে বিমানবন্দরে উপস্থিত যাত্রী বিকল্প বিমানের জন্য অপেক্ষায় থাকাকালীন তাদের খাবার দাবার দিতে হবে।
২. বিমান চলাচলে বিলম্ব হলে বিমান সংস্থাটিকে যাত্রীদের খাবার দাবার দিতে হবে। বিকল্প বিমানের ব্যবস্থা/যাত্রীকে পুরো বিমান ভাড়া ফিরিয়ে দেওয়া অথবা বিমান যাত্রার ক্ষেত্রে কতখানি বিলম্ব হতে পারে সেই মোতাবেক হোটেলে থাকার (সেখানে যাওয়ার খরচ সমেত) বন্দোবস্ত করতে হবে।
Representative picture |
আকস্মিক কোনো বড় ধরণের ঘটনা ঘটে গেলে যার নিয়ন্ত্রণ সেই বিমান সংস্থার হাতে নেই যেমন বিমান সংস্থাটির নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত অস্বাভাবিক কোনো পরিস্থিতির কারণে বিমান সংস্থাটিকে এই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে দায়বদ্ধ থাকতে হবে না।
সুযোগ সুবিধা প্রদানের প্রশ্ন উঠবে তখনই, মন্ত্রকের, ডিজিসিএ ওয়েবসাইটে সিএআরএস-এ এবং সংশ্লিষ্ট বিমান সংস্থাটির ওয়েবসাইটে জনগণের সামনে প্রকাশিত যাত্রী তালিকা বেরিয়ে যাওয়ার পর যদি বিমান চলাচলের বিলম্ব ঘটে সেক্ষেত্রে এই ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন দেখা দেবে।
যাত্রীদের স্বার্থ রক্ষায় যথা বিহিত ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই চালু রয়েছে। অসামরিক বিমান পরিবহন সংক্রান্ত প্রতিমন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত জেনারেল ড. ভি কে সিং রাজ্যসভায় আজ এক প্রশ্নের লিখিত জবাবে একথা জানিয়েছেন।
0 Comments