বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: রাজ্যের নতুন শিক্ষাবর্ষে এগোনো হচ্ছে গ্রীষ্ম অবকাশ, শুধু তাই নয় স্কুলে প্রবেশের জন্য সময়সীমাও পরিবর্তিত হচ্ছে। এ নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন প্রধানশিক্ষকরা। এ নিয়ে প্রধানশিক্ষকদের বক্তব্য, দেশের একটি রাজ্যের গ্রীষ্মের ছুটি মাত্র ১০ দিন! যেখানে প্রতিবছর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এক মাস থেকে দু'মাস পর্যন্ত অতিরিক্ত ছুটি দিয়ে থাকেন! সেদিকে তাকিয়েই কি পুজোর ছুটি বাড়িয়ে গরমের ছুটি কমানো হচ্ছে? প্রশ্ন তুলছেন প্রধানশিক্ষকরা। প্রধানশিক্ষকদের বক্তব্য, মে গ্রীষ্মাবকাশ শেষ, এটা হাস্যকর! আগে এই অবকাশ শুরু হতো মে মাসের চতুর্থ সপ্তাহ থেকে। ওই ছুটি থাকত জুন মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত। কোন বিজ্ঞান, ভূগোল, পরিবেশ বিদ্যা, যুক্তিবিদ্যা ,দর্শন মেনে এমন ছুটি তা তারা বুঝে উঠতে পারছেন না।
এ নিয়ে প্রধানশিক্ষক সংগঠন অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাষ্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস-এর সাধারণ সম্পাদক চন্দন মাইতির বক্তব্য, পূজা অবকাশের ছুটি প্রায় এক মাস! প্রাথমিক বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের পূজা অবকাশে টানা ছুটিতে নেই। লক্ষ্মীপূজার পর তাদের স্কুল খুলছে। আর তুলনামূলকভাবে বড় ছাত্রীর ছাত্রীদের টানা ছুটি দিয়ে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বছরের পর বছর নজির সৃষ্টি করে চলেছে! আমরা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সঙ্গে মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের ছুটির তালিকা সাযুজ্য রেখে চলতে অনুরোধ করছি। কারণ বহু মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে পঞ্চম শ্রেণি যুক্ত আছে। আবার বহু প্রাথমিক বিদ্যালয় এ পঞ্চম শ্রেণিকে যুক্ত করে পড়ানো চলছে। এই দ্বিচারিতা বন্ধ হোক।
অন্যদিকে জানা গিয়েছে, শিক্ষকদের স্কুলে আসার সময় এগিয়ে আসছে নতুন শিক্ষাবর্ষে। সকাল ১০টা ৫০ নয়, এবার থেকে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটের মধ্যেই স্কুলে ঢুকতে হবে তাঁদের। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এমনটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে তা। জুনিয়র হাইস্কুল, সেকেন্ডারি স্কুল (সরকার ও সরকার পোষিত)-সহ বোর্ডের আওতায় থাকা স্কুলের জন্য এই বিধি কার্যকরী হবে। নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে, প্রতিষ্ঠানের প্রধান থেকে শুরু করে স্কুলের সমস্ত স্টাফকে (টিচিং, ননটিচিং) প্রার্থনায় থাকতে হবে। ১০টা ৪০-এর পর যদি কেউ আসেন, তাঁর জন্য 'লেট' মার্ক হবে। শুধু তাই নয়, ১১টা ১৫ মিনিটের পর যদি কোনও শিক্ষক বা শিক্ষিকা স্কুলে আসেন, তাহলে তাঁকে সেদিনের জন্য 'অনুপস্থিত' হিসাবে গন্য করা হবে বলেও স্পষ্ট করা হয়েছে।
0 Comments