পার্লামেন্টে স্মোক ক্যান-কাণ্ডে ধৃতদের পক্ষেই সওয়াল, মুক্তির দাবি

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: পার্লামেন্ট অধিবেশন চলাকালীন দুজন যুবক ভিতরে প্রবেশ করে। তারপর হঠাৎ করেই স্মোক ক্যান থেকে ধোঁয়া ওড়ানো ও স্লোগান দিতে শুরু করেন তারা। অবশ্য দুজনেই ধরা পড়েছে।এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।এবার এদের মুক্তির দাবিতে সরব হয়েছেন মানবাধিকারকর্মীরা।১৫ তারিখ এ নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন 'ফ্যাসিস্ট আরএসএস- বিজেপির বিরুদ্ধে বাংলা'-র পক্ষেসু সুজাত ভদ্র, সুমিতা দাস, ড. সত্যব্রত দে সরকার, শতাব্দী দাশ ও মহাশ্বেতা সমাজদার।

Photo credit: Indian express 

মানবাধিকারকর্মীদের বক্তব্য, চার সাহসী সৎ দেশপ্রেমিক যুবকযুবতী সংসদে ঢুকে রং ছড়িয়ে সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছেন। আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি ও ভয়ানক বেকারির বিরুদ্ধে তাঁরা আওয়াজ তুলেছেন। কোনও একজন সাংসদেরও সামান্যতম শারীরিক ক্ষতি তাঁরা করেননি। যে ভগৎ সিংয়ের নাম করে ভোটের ময়দানে নরেন্দ্র মোদি ভোটভিক্ষা করেন সেই ভগৎ সিং এই যুবকযুবতীদের অনুপ্রেরণার উৎস বলে এঁরা জানিয়েছেন। এই চারজন বিগত কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেছেন এবং  বর্তমান মোদি জমানার মানবাধিকার হরণের প্রতিবাদ করেছেন। এঁদের দাবি, সমস্ত শিক্ষিত বেকারের চাকরি, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার, কৃষকের পরিপূর্ণ নিরাপত্তা এবং নির্বাচন কমিশনের পরিপূর্ণ নিরপেক্ষতা। 

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মোদি সরকার নির্বাচন কমিশনার নিয়োগে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে বাদ দিয়ে বিল এনেছে। এই চারজন নাগরিক নাগরিকের অধিকারে নাগরিকের দাবি নিয়ে সম্পূর্ণ অহিংস প্রতিবাদ করেছেন। এই চারজনের বিরুদ্ধে ইউএপিএ আইনে মামলা হয়েছে, আমরা যার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। যে কাজ সরকারের করার কথা, যে দাবি বিরোধীদের তোলার কথা, নিজেদের জীবন ও জীবিকার ভয়াবহ ঝুঁকি নিয়ে এই দেশপ্রেমিক যুবকযুবতীরা সেই দাবি জানিয়ে সরব হয়েছেন।

সংসদে নিরাপত্তা রক্ষা করা যার দায়িত্ব , কর্তব্যে অবহেলার জন্য শাস্তি তার প্রাপ্য। "গণতন্ত্রের পীঠস্থানে" গণতান্ত্রিক দাবি তোলা শাস্তিযোগ্য হতে পারে না। অবিলম্বে এঁদের চারজন ও সংশ্লিষ্ট সকলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাই।

Post a Comment

0 Comments