তোলাবাজি ও মাফিয়াগিরিতে যুক্ত বর্তমান জেলা সভাপতিরা, অভিযোগ খোদ বিজেপিতেই!

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: এমনিতেই বঙ্গ–বিজেপির সংগঠন খুব একটা ভালো নয়। বরাবরই গোষ্ঠী কোন্দলে দ্বিধা–বিভক্ত থাকে বাংলার গেরুয়া শিবির। আর  ভোট যত এগিয়ে আসছে ক্ষোভ বাড়ছে গেরুয়া শিবিরে। বর্তমান নেতৃত্বের একাংশ তোলাবাজি করে, সিন্ডিকেটের সঙ্গে হাত মিলিয়ে টাকা তুলছে। পুরানো কর্মীরা গুরুত্ব পাচ্ছেন না। এমনই অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বিজেপির রাজ্য দফতর মুরলীধর লেনে বিক্ষোভ দেখাল দলেরই একাংশ। এ দিন বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল একাধিক পোস্টার, প্ল্যাকার্ড। দলের মধ্যে থাকা দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে তদন্তও দাবি করেন বিক্ষোভকারীরা। 

বিক্ষোভকারীদের দাবি, ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর দলের পুরনো কর্মীরা আর সক্রিয় হতে পারছেন না। দলের কোনও কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না তাঁদের বরং অন্যান্য দল থেকে আসা, বিশেষ করে তৃণমূল থেকে আসা কর্মীদের বেশি প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে দলে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীর অপসারণ করা দরকার বলেও দাবি করা হয়। বিক্ষোভকারীরা রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, আইটি সেল নেতা অমিত মালব্য-সহ জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। বিজেপি বাঁচাও মঞ্চ গড়ে বিক্ষোভকারীরা নিজেদের দাবি-দাওয়া তুলে ধরেন। 



সংগঠনের নেতা শামসুর রাহমান বলেন, বিজেপির যে সাংগঠনিক দুরাবস্থা তাতে বহু জায়গায় বিজেপি কর্মীরা মার খাচ্ছেন। অমিত মালব্য ও অমিতাভ চক্রবর্তী এই সংগঠনটাকে শেষ করে দিচ্ছে। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে অনেক ভালো ফল করা যেত, দল ক্ষমতায় আসতে পারত। কিন্তু তৃণমূল থেকে আসা লোকেদের সিট দেওয়া হয়েছে। ফলে ফল ভালো হয়নি। পুরানো কর্মীরা আজ দলের বাইরে। তিনি আরও অভিযোগ করেন, কয়লা ও পাথর মাফিয়াদের সঙ্গে বিজেপি নেতাদের যোগসূত্র রয়েছে। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে একাধিক ইমেল করা হয়েছে এই বিষয়ে, তবুও কোনও সুরাহা হয়নি। বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলা সভাপতিরা তোলাবাজি ও সিন্ডিকেটের সঙ্গে যুক্ত। তৃণমূলের বিরুদ্ধে তদন্ত হলে এদের বিরুদ্ধেও তদন্ত দরকার।


তথ্যসহায়তা: পুবের কলম

Post a Comment

0 Comments