বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: এই বাংলায় হিন্দু মুসলিম পাশাপাশি বাস করলেও কিছু মানুষ বিভেদ সৃষ্টি করেন। তাঁরা মুসলিমদের বাঙালি মানতে নারাজ। কতকটা বিদ্বেষ ও অজ্ঞতার ফলে এখনও যেন রয়ে গিয়েছে অর্গল। কিন্তু সংবাদমাধ্যমে কেন তা প্রচারিত হবে? প্রশ্ন তুলল জাতীয় বাংলা সম্মেলন।
প্রসঙ্গত, ভবানীপুর উপনির্বাচন নিয়ে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান মুসলিম ও বাঙালি পৃথকীকরণ করা হয়েছে। তা নিয়েই আপত্তি করেছেন সিদ্ধব্ৰত দাস।
জাতীয় বাংলা সম্মেলনের তরফে প্রতিবাদ করা হয়েছে। ক্ষমা চাওয়ার দাবিও করা হয়েছে। এদিন তারা ইমেইল করে বলেছে, আপনাদের চ্যানেল বিগত ২৪ সেপ্টেম্বর আগামী ভবানীপুর উপনির্বাচনের ভোট নিয়ে একটি বিশ্লেষণ অনুষ্ঠান করে যার নাম 'ডেটামশাই'। সেই অনুষ্ঠানে এটা দেখানো হয়েছে যে ভবানীপুর কেন্দ্রে মূলত ৩ ধরণে ভোটার থাকে বাঙালি, অবাঙালি ও মুসলিম। জাতীয় বাংলা সম্মেলন এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
বাঙালি একটি জাতি যার মধ্যে বিভিন্ন ধর্মালম্বী মানুষ যেমন হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ আছে। বাঙালি আর মুসলিমকে আলাদা করে দেখালে যেটা বোঝায় যে বাঙালি মুসলমান হয় না। আমরা গর্বিত আমরা বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনের মতো বাঙালি পথপ্রদর্শক পেয়েছি, আমরা গর্বিত কাজী নজরুল ইসলাম আমাদের জাতির কবি, আমরা গর্বিত শের এ-বাংলা ফজলুল হক, বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান আমাদের জাতির নেতা। শহীদ সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার, শফিউয়ের রক্তে রাঙ্গানো ২১ ফেব্রুয়ারি আজ রাষ্ট্রপুঞ্জের স্বীকৃতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে। কিভাবে TV9 বাংলা এটা বলতে পারে বাঙালি আর মুসলিম আলাদা। একজন বাঙালি হিন্দু যতটা বাঙালি, তার থেকে কোনো অংশে কম একজন বাঙালি মুসলিম? আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে TV9 বাংলাকে এই ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে অন্যথা আমরা, জাতীয় বাংলা সম্মেলন আপনাদের চ্যানেলের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করবো।
0 Comments