খোদ কলকাতাতেই বহিরাগত উবার ড্রাইভারের কাছে হেনস্থার শিকার বাঙালি মহিলা

বিশেষ প্রতিবেদন, বেঙ্গল মিরর: এর আগে ড্রাইভার-এর কাছে হেনস্তার কথা অনেক শুনেছেন। কখনও কখনও ছিনতাই বা যৌন নির্যাতনের ঘটনাও দেখেছে শহর কলকাতা। পুলিশ কিছু কিছু ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নিলেও সমস্যার যে সুরাহা হয়নি তা ফের প্রকাশ্যে এলো সম্প্রতি।অভিযোগ, এক বহিরাগত উবার ড্রাইভারের হাতে হেনস্তার শিকার হলেন বাঙালি মহিলা। এ নিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ঘটনার কথা জানিয়ে এদিন সমাজকর্মী প্রানোজিৎ দে মুখপুস্তিকায় লিখেছেন, কিছুদিন আগে আমার স্ত্রী আমার শ্বশুরবাড়ির কয়েকজন বয়স্ক মানুষকে নিয়ে উডল্যান্ড হাসপাতালে চেক আপ করাতে যান। ফেরার সময় ওনারা যে উবের-এ করে ফেরেন (WB37D4968) সেই উবের-এর "উপেন্দ্র" নামক অবাঙালি ড্রাইভার আমার স্ত্রী ও আমার শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়দের সঙ্গে অসম্ভব দুর্ব্যবহার করে।
তারপর পেশায় একজন আইটি কর্মী ও সমাজসেবী সাদিকুল ইসলামের সাথে পরামর্শ করে কলকাতা পুলিশ কমিশনারকে ইমেইল করা হয়।


তিনি আরও জানান, এদিন লালবাজার DD, WG থেকে ফোন করেছিল। দুপুরে সস্ত্রীক গেলাম। কথাবার্তা হলো। তারপর ওনারাই গাড়ি করে দুজন অফিসারসহ আমাদের হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে গেলেন এবং হেয়ার স্ট্রিট থানায় অফিশিয়াল এফআইআর গৃহীত হলো ও আমাদের কেস নম্বর দেওয়া হল।

এই বহিরাগতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে না পারলে আমাদের রাজ্য কিন্তু দিনে দিনে অসুরক্ষিত হয়ে পড়বে। সবাই এগিয়ে আসুন এবং এদের এই অসভ্যতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলুন। থানা পুলিশকে ভয় পেয়ে অফিশিয়াল অভিযোগ জানাতে পিছিয়ে থাকলে কিন্তু নিজেদের বিপদ নিজেরাই বাড়াবেন।
প্রানোজিৎ দে আরও বলেন, মহারাষ্ট্রে মারাঠিদের বিরুদ্ধে, তামিলনাড়ুতে তামিলদের বিরুদ্ধে, কেরলে মালয়ালিদের বিরুদ্ধে যেমন কেউ কথা বলার সাহস পায়না, তেমনি বাংলাতেও বাঙালিদের বিরুদ্ধে বহিরাগতরা যেন অপমানজনক কথা বলার সাহস না পায় তা আমাদের নিশ্চিত করতে হবে।

কোনো রাজনৈতিক দল এইসব নিয়ে চিন্তিত নয়। তারা সবাই বিশ্বমানব বা ভুয়ো জাতিয়তাবাদী। অতএব নিজেদের অস্বিত্ব রক্ষার জন্য বাঙালি জাতিকে নিজেদের লড়াই নিজেদেরকেই লড়তে হবে।

Post a Comment

0 Comments