নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে চরম বঞ্চনা ও সংশোধন, অতঃপর?

সায়ীদ উল ইসলাম

সবাই দেখছি এই রিভাইজড লিস্ট নিয়ে আজ খুব উচ্ছসিত এবং নিজেদের লড়াইয়ের সফলতা হিসাবে বিরাট প্রচার চালাচ্ছেন।খুব ভালো কথা। কিন্তু কেউ একবারও প্রশ্ন করছেন না যে এক রাতে কিভাবে ৫০জন অযোগ্য ব্যাকওয়ার্ড  ক্লাস বা বিসি ক্যান্ডিডেটের মধ্যে ২ জন যোগ্য হয়ে উঠল। তাহলে কি আগে তারা যোগ্য ছিল? তাদের বঞ্চিত করা হয়েছিল? যদি তাই–ই হয় তবে যারা এই জঘন্য এবং নোংরা কাজটি করলো তাদের বিচার হবে না কেন? কেন ডিপার্টমেন্টের হেড, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য্যকে প্রশ্ন করা হবে না? অপেক্ষা করুন, আবার কোনও বিশ্ববিদ্যালয়ে এরকম ঘটনা ঘটতে চলেছে।তাই বেশি না উচ্ছসিত না হয়ে গর্জন জারি রাখুন।
 


যেদিন থেকে ওবিসি রিজার্ভেশন শুরু হয়েছে এই রাজ্যে, সেদিন থেকেই বিভিন্নভাবে বঞ্চনা চলছে। কোথাও মাস্টার্সে, কোথাও পিএইচডিতে, কোথাও কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর নিয়োগে, সার্বিকভাবে বিভিন্ন চাকরির পরীক্ষায় NFS বা কাউকেই পাওয়া যায়নি বলে উল্লেখ করা হচ্ছে।। এ এক মহা চক্রান্ত। এগুলো চোখে পড়ার পর বিভিন্নরকম প্রতিবাদ, ডেপুটেশন, সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখালেখি, নিউজ রিপোর্ট ইত্যাদির পর কোথাও কোথাও আবার রিভাইজড লিস্ট বার করা হচ্ছে। এখন কথা হল– খেলাটা কি এভাবেই চলতে থাকবে? খেলা শেষ হবে না? মানে বঞ্চনা চলতে থাকবে, আর আমাদের অতন্দ্র প্রহরীর মতো সজাগ থাকতে হবে। চিল্লাচিল্লি করলে দান-খয়রাত করা হবে আর কি!
তাই বন্ধুগণ পার্মানেন্ট সলিউশনের লক্ষ্যে লড়াইয়ের রূপরেখা তৈরি করুন। আর যেন কোথাও কেউ এই নোংরা খেলা না খেলতে পারে।

Post a Comment

0 Comments