সাধারণ রোগীকে করোনার মুখে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ফর্টিস হাসপাতালের বিরুদ্ধে

নিজস্ব প্রতিবেদন, বেঙ্গল মিরর: চিকিৎসা করাতে এসে ঠিকঠাক পরিষেবা পাননি রোগী, বরং তাঁকে করোনা সংক্রমণের দিকেই ঠেলে হয়েছে। করা হয়েছে বাজে ব্যবহার। নেওয়া হয়েছে বেশি টাকা। সোমবার এমনই অভিযোগ উঠেছে রাসবিহারীর ফর্টিস হাসপাতাল অ্যান্ড কিডনি ইন্সটিটিউটের বিরুদ্ধে। রীতিমত রবীন্দ্র সরোবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন হাওড়ার বালির এক বাসিন্দা।

এদিন নিজের কিডনির সমস্যার জন্য দিদিকে সঙ্গে নিয়ে ড. পার্থ কর্মকারকে দেখাতে আসেন সপ্তর্ষী বৈশ্য (২৪)। অভিযোগ, বিলিং-এর সময় কনসালটেশন ফিজ ছাড়াও করোনা পরিস্থিতির জন্য আলাদা চার্জ নেওয়া হয়। তারপর ডাক্তার দেখানোর জন্য ওপরে একতলায় যেতে বলা হলে ওয়েটিং লবির সামনের লিফট ধরে ওপরে যান তিনি। সেখানেই ঘটে বিপত্তি। তাঁরা গিয়ে দেখেন সেটা কোভিড আইসোলেশন ওয়ার্ড। ফিরে এসে যথেষ্ট উদ্বেগের সঙ্গে সমস্তটা কর্তৃপক্ষকে জানানো হলে, তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় বলে অভিযোগ। পরে তিনি রবীন্দ্রসরোবর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছে, থানার তরফে বিষয়টি স্বাস্থ্যভবনে জানানো হবে। তবে তিনিও স্বাস্থ্যভবন ও কমিশনে জানাবেন বলে জানিয়েছেন।

Photo: TBM

তিনি আরও বলেন, রবীন্দ্রসরোবর থানায় জানানোর পর সাথে সাথে হাসপাতালে পুলিস আসেন। আমি থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ জমা করলাম। ফর্টিস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অত্যন্ত দুর্ব্যবহার করেছেন, লিখিত ক্ষমাও চাননি।এত পুলিসকর্মী, স্বাস্থ্যকর্মী করোনার জন্য প্রাণপাত করে লড়ছেন, সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছেন, অথচ এই ফর্টিসের মত কর্পোরেট হাসপাতাল কোভিডের জন্য ভূরিভূরি বিল করে মানুষকে লুটে নিয়েও এতটা উদাসীন হয়ে থাকছে? সামান্য পঞ্চাশ পয়সার প্রিন্ট-আউট বের করে লিফটের গায়ে আটকাতে পারছেন না যে এই লিফট কোভিড ওয়ার্ডের, সাধারণ রোগীরা এটা ব্যবহার করবেন না। কোনও কোভিড আক্রান্ত নয় এমন রোগী এইভাবে এক্সপোজড হয়ে মারা গেলে তার দায় কে নেবে? উদ্ধত আচরণের বিহিত চেয়ে অভিযোগ করেছেন বলেও জানান, সপ্তর্ষী বৈশ্য।

বিষয়টি নিয়ে ফর্টিস হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কিছু করা যায়নি। তবে থানায় লিখিত অভিযোগে, উপরোক্ত কথাই লিখেছেন রোগী। 

Post a Comment

0 Comments