আপার প্রাইমারি মামলার শুনানি শেষ, শীঘ্রই রায় ও নিয়োগের সম্ভাবনা

বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: পরিবর্তনের সরকার আসার পর তেমনি কোনও নিয়োগ হয়নি। স্কুল সার্ভিস কমিশন থেকে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন সবেতেই সরকারের ঢিলেমির উঠেছে। কখনও বা দূর্নীতির অভিযোগও উঠেছে। তেমনই কতকগুলি মামলা চলছিল কলকাতা হাইকোর্টে। প্রার্থীদের মূল দাবি ছিল, বিভিন্ন প্রার্থীর টেটের মার্কস বাড়ানো হয়েছে । রুল অনুযায়ী ইন্টারভিউ লিস্ট তৈরি করা হয়নি । 1:1.4 রেশিও মানা হয়নি। সেই মামলার শুনানি শেষ হল কোর্টে। এবার রায় আসতে চলেছে শীঘ্রই। 
Photo credit: high court

কোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, শেষ হয়েছে আপার প্রাইমারি মামলার শুনানি। খুব শীঘ্রই হতে পারে এই মামলার রায়দান। আগের শূণ্যপদ ছাড়াও নতুন করে প্রায় ৫১০০টি শূণ্যপদ তৈরি হয়েছে বলে কলকাতা হাইকোর্টে আগেই জানিয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। ফলে নিয়োগ প্রক্রিয়ার ওপর যে স্থগিতাদেশ রয়েছে তা উঠে গেলে বড় সংখ্যক প্রার্থী নিয়োগের ছাড়পত্র পাবে স্কুল সার্ভিস কমিশন।
প্রসঙ্গত, মামলাকারী ভানু রায়-সহ একাধিক চাকরিপ্রার্থী আপার প্রাইমারি ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে, তাতে মেধাতালিকায় বড়সড় কারচুপির অভিযোগে মামলা করেন কলকাতা হাইকোর্টে। কয়েক হাজার মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। প্রার্থীদের মূল দাবি ছিল, বিভিন্ন প্রার্থীর টেটের মার্কস বাড়ানো হয়েছে । রুল অনুযায়ী ইন্টারভিউ লিস্ট বানানো হয়নি। মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্যর সিঙ্গল বেঞ্চে বিচারাধীন ছিল। এই মামলারই শুনানি শেষ হয়েছে। যদিও মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী ফিরদৌস শামীম বলেন,"এখনো নম্বর বেশি বেশি পেয়েছে এরকম অনেক প্রার্থীর ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন করা হয়নি।" এর উত্তরে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত বলেন," ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন এর সময় অনেক আগেই পেরিয়ে গেছে।" বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য অবশ্য এতে কোনও মন্তব্য করেননি। এই মামলার রায়দান খুব শীঘ্রই হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিচারপতি এমনটাই জানালেন আইনজীবীরা। এর আগে ২২ জুন এই মামলাটিতেই মামলাকারীদের বক্তব্য শোনার পর বিচারপতি বিবেক চৌধুরি নির্দেশ দেন, এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্কুল সার্ভিস কমিশন কোনও প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দিতে পারবে না।

Post a Comment

0 Comments