প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম হয়ে স্বর্ণপদক পাচ্ছে সাভানা

নিজস্ব প্রতিবেদন, বেঙ্গল মিররঃ  অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো শিক্ষাক্ষেত্রেও বাংলার প্রান্তিক সমাজের মেয়েরা দ্রুতগতিতে এগোচ্ছে। সাম্প্রতিককালে মাধ্যমিক উচ্চমাধ্যমিকে অনেকেই সেরার তালিকায় নাম লেখাতে পেরেছে। এবার সেই তালিকায় নবতম সংযোজন সাভানা খাতুন। কলকাতার আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের মেয়েটিই এবার রাজ্যের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাচেলর অফ টেকনলোজি ইন ইনস্ট্রুমেনটেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে প্রথম স্থান দখল করে স্বর্ণপদক পাচ্ছে। আর এই খবরে স্বভাবতই খুশি সাভানা খাতুনের বাবা মুহাম্মদ ফজলুর রহমান খান ও মা আতিমা খাতুন। মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলোজি (ম্যাক্যাউট) সূত্রে জানা গিয়েছে– বিশ্ববিদ্যালয়ের সমার্বতন অনুষ্ঠানে অন্যান্য বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীদের সঙ্গে সাভানা খাতুনকেও স্বর্ণপদক প্রদান করা হবে। উল্লেখ্য, আগামী ১২ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসে ওই সমাবর্তন অনুষ্ঠান হবে বলে জানা গিয়েছে।
ছবি নিজস্ব
সাভানা খাতুন বাবা-মায়ের কনিষ্ঠ কন্যা। ২০১৩ সালে সিআইটি রোডের হোলি চাইল্ড গালর্স হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করে সাভানা। একই স্কুল থেকে ২০১৫ সালে বিজ্ঞান বিভাগে স্টার মার্কস পেয়ে উত্তীর্ণ হয় এবং টালিগঞ্জের ক্যালকাটা ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট-এ ইনস্ট্রুমেনটেশন অ্যান্ড কন্ট্রোল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে বিটেকে ভর্তি হয়। এ বছর ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে তার স্নাতক স্তর সম্পন্ন হয়েছে। কিছুদিন আগে ফলাফল প্রকাশিত হয়। সাভানা কলেজের মধ্যে প্রথম স্থান দখল করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জানানো হয়েছে সাভানা শুধু কলেজেই নয়– বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা হয়ে স্বর্ণপদক পাবে।
উল্লেখ্য, সাভানা খাতুন পড়াশোনায় মেধাবী– একই সঙ্গে ভালো আঁকতেও পারেন। ছোটবেলায় গান-নৃত্য চর্চা করলেও এখন আর করে না। সাভানা খাতুনের ইচ্ছা পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করা। আর সেই স্বপ্নকে ভর করেই সাভানা নিজের কলেজে এমবিএ-তে ভর্তি হয়েছে। উল্লেখ্য– তার দাদা– দিদি দুজনেই ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। ইঞ্জিনিয়ারিং যন্ত্রাদির ব্যবসায়ী মুহাম্মদ ফজলুর রহমান খানের কন্যা সাভানার কথায়– পড়াশোনার জন্য দাদা-দিদির কাছেই অনুপ্রেরণা পেয়েছি। আমি ওদের সঙ্গে আলোচনা করে পড়াশোনা করতাম। প্রসঙ্গত– সাভানার দিদিও একই কলেজ থেকে একই বিষয়ে পড়াশোনা করেছেন।

Post a Comment

0 Comments