ভারতীয় সংবিধানে স্বীকৃত সরকারি ভাষা ও কিছু আইনি তথ্য

বেঙ্গল মিরর ডেস্কঃ সম্প্রতি হিন্দিকে জোর করে চাপিয়ে দেওয়ার অভিযোগ কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ দক্ষিণ থেকে পূর্বে। আর তাই নিয়ে আমাদের আলোচনা। প্রসঙ্গত, ১৯৫০ সালে সংবিধান গ্রহনের সময় পরিকল্পনা নেওয়া হয় ১৫ বছরের মধ্যে ধিরে ধিরে ইংরাজির বদলে হিন্দিকে বসানো হবে, কিন্তু পরবর্তীকালে আইন প্রনয়ন করে ইংরাজির ব্যবহার বহাল রাখা হয়। পরবর্তী পরিকল্পনা অনুযায়ী হিন্দিকে একক ভাবে সরকারি ভাষা করতে গেলে বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাধা আসতে থাকে।
অন্যান্য রাজ্যের সরকারি ভাষাকে সঙ্গে নিয়ে আজও সরকারি ক্ষেত্রে হিন্দি কার্যকর হয়ে চলে আসছে। কিন্তু ভারতীয় সংবিধানে হিন্দি কে জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি। বর্তমানে ভারতীয় সংবিধানে অষ্টম তফশিলের আর্টিকেল 344 (1) এবং 351 অনুযায়ী মোট ২২ টি ভাষা রয়েছে এবং কোন একজন সাধারণ নাগরিক তার সাংবিধানিক নিয়মানুযায়ী যে কোন ভাষায় কথা বলতে পারে।

 সংবিধানের অষ্টম তফসিলে অন্তর্ভুক্ত নিম্নলিখিত ২২ ভাষা নিম্নরূপ
 ভাষায়: -
 (1) আসামি (2) বাংলা (3) গুজরাতি (4) হিন্দি,  (5) কন্নড়, (6) কাশ্মিরি, (7) কোঙ্কনি,   (8) মালয়ালাম, (9) মণিপুরী, (10) মারাঠি,  (11) নেপালি, (12) ওড়িয়া, (13) পাঞ্জাবি, (14) সংস্কৃত, (15) সিন্ধি, (16) তামিল,
 (17) তেলুগু, (18) উর্দু (19) বোডো (আসামে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মধ্যে এই ভাষা শোনা যায়)
 (20) সাঁওতালি, (21) মৈথিলি ও (22) ডোগরি(জম্মু-কাশ্মীরে)

এই ভাষাগুলির মধ্যে  ১৪ টি সংবিধানে প্রাথমিকভাবে অন্তর্ভুক্ত ছিল। ২১তম সংবিধান সংশোধনীতে সিন্ধি ভাষাটি 1967 সালে যোগ করা হয়েছিল। তারপরে 71 সংবিধান সংশোধন আইন অনুসারে তিনটি ভাষা যেমন কোঙ্কনি মণিপুরী ও নেপালীকে 1992 সালে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। পরবর্তীকালে 92 তম সংবিধান সংশোধনী আইন অনুসারে 2004 সালে বোডো দোগরি, মৈথিলি ও সাঁওতালি যোগ করা হয়েছিল।

[তথ্য সংকলনে শবনম অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট ল' ফার্ম] 

Post a Comment

0 Comments