সম্প্রীতির বাংলায় বিভেদকামী শক্তির কোন স্থান নেই: জীবন মুখোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা, সোনারপুরঃ সম্প্রীতির রাজ্য পশ্চিম বাংলায় বিভেদকামী শক্তির স্থান নেই বলে মন্তব্য করেছেন ইতিহাসবিদ তথা সোনারপুর দক্ষিণের বিধায়ক জীবন মুখোপাধ্যায়। গতকাল বুধবার এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমাদের দেশের চিরাচরিত ঐতিহ্য হলো মিলন। তিনি বলেন, ইতিহাসের পাতায় তাকালেই দেখা যায় কীভাবে যুগে যুগে বিভেদকামী শক্তি মাথা চাঁড়া দিয়েছে আবার সাধারণ মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত ও ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে তা প্রতিহত হয়েছে। তিনি হুসেন শাহ, আকবর প্রভৃতি উদাহরণ তুলে ধরে ঐক্যের কথা বলেন। এমনকী রঞ্জিত সিং এর আমলে আযান বিতর্ক প্রসঙ্গ তুলে বলেছেন কীভাবে তিনি বিভেদকামীদের রুখে দিয়েছেন। আখলাক, জুনাইদ আফরাজুল হত্যার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, এই ধরনের কোন কাজই মেনে নেওয়া যায়না। দেশজুড়ে বিজেপির সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক কর্মকান্ড ও ধর্মীয় মেরুকরণের প্রতিবাদে বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষদের ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ করতে অভিনব উদ্যোগ নিলো দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও ইমানুয়েল মিনিস্ট্রি চার্চ ।
গতকাল বুধবার সোনারপুরের রাজপুরে একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্প্রীতির বার্তা দেওয়া হয় বিভিন্ন ধর্মীয় ব্যক্তিত্বের মাধ্যমে। "সম্প্রীতি ও মেলবন্ধন" নামের ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূল জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি পল্লব কান্তি ঘোষ, রাজপুর-সোনারপুর পৌরসভার ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শাহেনশাহ মন্ডল, ইমানুয়েল মিনিস্ট্রি চার্চ এর পাদ্রী সুনীল কুমার সিনহা প্রমুখ।
প্রতিবাদের গান, কবিতা আবৃত্তি ও বসে আকো, পাশাপাশি কুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্যোক্তা তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সম্পাদক বিপ্লব শীল এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিজেপি ও আরএসএসের মূল লক্ষ্য হল দেশে গৈরিকীকরণ আর আমরা সমস্ত বিভেদ ও দাঙ্গা হাঙ্গামার বিপক্ষে। মানুষের মাঝে শান্তি ও সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দিতে চাই । আফরাজুল ও হেমন্ত রায়ের মতো নিরীহ মানুষদের জঘন্য হত্যাকাণ্ডের তীব্র ধিক্কারও জানান তিনি। সুনীল বাবুও বিভিন্ন ধর্মের সাম্য ও মৈত্রীর কথা তুলে ধরেন।

Post a Comment

0 Comments