রোহিঙ্গা ইস্যুতে মানবাধিকার সংগঠনগুলির কনভেনশন যুব কেন্দ্রে

নিজস্ব সংবাদদাতা, দি বেঙ্গল মিরর, কলকাতাঃ গত ২৫ আগস্ট থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গা জনজাতিকে উৎখাত করার ঘৃণ্য চক্রান্ত করছে সে দেশের সরকার। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন ও বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ রোহিঙ্গা মহিলাদের ধর্ষন, ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দেওয়া, শিশু ও নারীদের প্রতি অত্যাচার চরমে উঠেছে। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আজ প্রায় ৬ লক্ষ রোহিঙ্গা শরণার্থী আশ্রিত। কিছু কিছু দেশ এই রোহিঙ্গা গনহত্যার বিরূদ্ধে কথা বললেও ভারত সরকারের ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আলোচকরা। আজ মৌলালী যুব কেন্দ্রে রোহিঙ্গাদের উপর মায়ানমার সরকারের বর্বর আক্রমণ বন্ধের দাবিতে কনভেনশন করে বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলি।
      সমাবেশের প্রথমে একটি প্রস্তাবনা উত্থাপন করেন বন্দীমুক্তি কমিটির পক্ষ থেকে তার সমর্থনে বক্তব্য রাখেন AIPF এর বাসুদেব বসু। রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন বিবিসির সাংবাদিক তথা 'দা হিন্দুর' সিনিয়র এডিটর সুভজিৎ বাগচী। মানবাধিকার কর্মী বিনায়ক সেন সভার পক্ষ থেকে প্রস্তাবনার সমর্থনে বক্তব্য রাখেন। আইনজীবী পার্থ সারথি সেনগুপ্ত বলেন, মোদী সরকারের ভূমিকা সংবিধানের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। মানুষ হিসাবে রোহিঙ্গাদের বাঁচার অধিকার আছে শরণার্থী হিসাবে ভারতে থাকার অধিকার কেড়ে নিয়ে আমাদের সরকার পরিকল্পিত গনহত্যার সমর্থন করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
  এদিকে মানবাধিকার কর্মী প্রফেসর সুজাত ভদ্র সেনাবাহিনীর অত্যাচারের তীব্র নিন্দা করে বলেন, সেনাবাহিনী সপুংসক হোক আমরা তা চাইনা কেননা কাশ্মীরের মেয়েরা জানে সেনাবাহিনীর নিপীড়ন কতটা ভয়ঙ্কর হতে পারে। তিনি শুধুমাত্র একটি বিশেষ পরিচয়ের কারনে রোহিঙ্গা গনহত্যা চলছে বলে অভিযোগ তুলেছেন।  তাদের দাবির সাথে সহমত পোষণ করে বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের প্রতিনিধিরাও যোগ দেয়। এসআইও-এর পক্ষ থেকে শেখ আব্দুল হামিদ ও ডিএসওর পক্ষে বক্তব্য রাখেন চন্দন সাঁতরা। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনগুলির কনভেনশনে যে প্রস্তাবনা ছিল তাতে বলা হয়েছে - অবিলম্বে মায়ানমারে গনহত্যা, ধর্ষণ ও নির্যাতন বন্ধ করা, মানবাধিকার সংগঠনগুলিকে রাখাইন প্রদেশে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া, ইত্যাদি সহ সাত দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। আজকের কনভেনশনে বোলান গাঙ্গুলি, ডাক্তার তরুণ মন্ডল মীযান পত্রিকার সম্পাদক ডা. মসিউর রহমান, জামাআতে ইসলামী হিন্দের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য আমীর মহ. নুরুদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Post a Comment

0 Comments