ইন্দ্রিয়া: কলকাতায় আদিত্য বিড়লা জুয়েলারির পথচলা শুরু

কলকাতা, ৬ ডিসেম্বর ২০২৫: ,আদিত্য বিড়লা জুয়েলারি ইন্দ্রিয়া নামে কলকাতায় ফ্ল্যাগশিপ স্টোর উদ্বোধনের মাধ্যমে শুরু করল পথচলা। ভারতের সাংস্কৃতিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত কলকাতা এমন এক শহর যেখানে রয়েছে ঐতিহ্য ও আধুনিকতার দুর্দান্ত মিশেল। আইকনিক স্থাপত্য এবং উজ্জ্বল শিল্পকলা থেকে এর সাহিত্যিক ঐতিহ্য এবং মিউজিকের প্রতি ভালোবাসায় কলকাতায় সৃজনশীলতা ও কারিগরিকে সবসময় কদর করে। কলকাতার এই মনোভাব ইন্দ্রিয়ার ঐতিহ্যকে লালন করার দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিস্ফুট, পাশাপাশি আধুনিকতাকে গ্রহণ করে কলকাতা শহরে ইন্দ্রিয়া নিয়ে এসেছে দুর্দান্ত কারিগরি এবং বিস্ময়কর জুয়েলারি।

রঘুনাথপুর-ভিআইপি রোডে অবস্থিত এই নতুন স্টোর এমনভাবে তৈরি যাতে ক্রেতারা দারুণ শপিং পরিবেশ পান। এখানে রয়েছে একটি কারিগরি কক্ষ যেখানে গ্রাহকরা তাঁদের শিল্পে শিল্পীদের কাজ নিবিড়ভাবে দেখতে পারবেন। এর সঙ্গে, স্টোর অফার করছে বিশেষ ব্রাইডাল লাউঞ্জ - একটি ব্যক্তিগত, অন্তরঙ্গ পরিসর যা তৈরি হয়েছে নববধূ ও তাঁদের পরিবারের জন্য যাতে তাঁরা একত্রে অর্থপূর্ণ সময় কাটাতে এবং সবচেয়ে উপভোগ্য সময়ের জুয়েলারি দেখতে পারেন। ২৮,০০০- এর বেশি নিখুঁতভাবে তৈরি জুয়েলারির নির্বাচিত ডিজাইন রয়েছে কলকাতা স্টোরে যাতে বাঙালির বহুদিনের সোনার কাজের সঙ্গে সমকালীন প্রবণতা মিশেছে। ইন্দ্রিয়ার কালেকশন গভীরভাবে কলকাতা শহরের আকাঙ্ক্ষিত এবং শিল্পের সমঝদার উপভোক্তার জন্য তৈরি করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, কলকাতায় পথচলা শুরু করে গোটা দেশে ইন্দ্রিয়ার স্টোর হল ৪০। এই ব্র্যান্ডের ছয়টি স্টোর আছে দিল্লিতে, মুম্বাই ও হায়দ্রাবাদে চারটি করে, পুনেয় তিন, আহমেদাবাদ, জয়পুর, পাটনা ও বেঙ্গালুরুতে দুটি করে এবং ইন্দোর, যোধপুর, সুরাট, বিজয়ওয়াড়া, ভুবনেশ্বর, লখনউ, প্রয়াগরাজ, কানপুর, আগ্রা, গয়া, জম্মু, ছত্রপতি সম্ভাজিনগর, চণ্ডীগড়, ম্যাঙ্গালোর ও এখন কলকাতায় একটি করে স্টোর। ক্রমবর্ধমান এই পদচ্ছাপ ইন্দ্রিয়ার প্রতিজ্ঞাবদ্ধতাকে আরও শক্তিশালী করছে যা হল দেশব্যাপী গ্রাহকদের কাছে অসাধারণ জুয়েলারি উপস্থাপন করা।

এ নিয়ে ইন্দ্রিয়ার সিইও সন্দীপ কোহলি বলেছেন, “আনন্দের শহরে প্রবেশ করতে পেরে আমরা অত্যন্ত রোমাঞ্চিত। কলকাতার ঐতিহ্য, বিশেষ করে কারিগরি ক্ষেত্রে এর অনন্য ও ঋদ্ধ ইতিহাস এবং জীবনকে উদযাপন ইন্দ্রিয়ার সঙ্গে একেবারে মানানসই। এই শহর অনুভব করে শিল্পের আত্মাকে। আমাদের লক্ষ্য চমৎকার ডিজাইনে ঐতিহ্য রক্ষা করা যা ইন্দ্রিয়াকে এই শহরের প্রত্যেক বধূ ও তাঁর পরিবারের প্রথম গন্তব্য করে তুলবে। তাঁদের ঐতিহ্য সম্মান করতে পারবেন চিরকালীন উত্তরাধিকারের সঙ্গে।”

Post a Comment

0 Comments