৪৯তম বছরে পা দিচ্ছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা, নানা আয়োজনে অনুপস্থিত বাংলাদেশ?

বিশেষ সংবাদদাতা: শারদ উৎসব শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে ফের রাজ্যের সবচেয়ে বড় সাংস্কৃতিক উৎসবের প্রস্তুতি শুরু। আগামী ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে ৪৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। মেলা চলবে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। অন্যান্য বছরের মতো মেলার উদ্বোধন করবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট কবি, সাহিত্যিক ও নানা ক্ষেত্রের গুণিজন। মেলা আয়োজকদের তরফে জানানো হয়েছে মেলা হবে সল্টলেকের বইমেলা প্রাঙ্গণে। বইমেলার সার্বিক সহযোগিতার জন্য আয়োজক কমিটি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে নগরোন্নয়ন দফতর, কেএমডিএ, তথ্য ও সংস্কৃতি দফতর, বিধাননগর পুলিশ, কলকাতা পুলিশ, বিধাননগর পৌরসংস্থা এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অন্যান্য দফতরের প্রতি।

জানা গিয়েছে, গত বইমেলায় এসেছিলেন প্রায় ২৭ লক্ষ বইপ্রেমী, বই বিক্রির পরিমাণ ছাড়িয়ে গিয়েছিল ২৩ কোটি টাকা। এই অভূতপূর্ব সাফল্যে যেমন আনন্দিত আয়োজকরা, তেমনই উদ্বিগ্নও, কারণ এ বছর অনেক নতুন প্রকাশক অংশ নিতে ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু প্রাঙ্গণের জায়গা না বাড়ায় নতুন স্টল বরাদ্দ সম্ভব নয়, জানানো হয়েছে আয়োজকদের তরফে। এই প্রথমবার থিম দেশ হিসেবে অংশ নিচ্ছে আর্জেন্টিনা , যাদের সঙ্গে ভারতের তথা বাংলার সাংস্কৃতিক সম্পর্ক গভীর। ভারতে আর্জেন্টিনার দূতাবাসের প্রতিনিধিরাও উপস্থিত থাকবেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। তাঁদের বক্তব্য ও উপস্থিতি দু’দেশের সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা আয়োজকদের।

২০২৭ সালে আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলা পা দেবে সুবর্ণজয়ন্তীতে। সেই উপলক্ষে বিশেষ আয়োজনের পরিকল্পনা নিয়েছে বইমেলা কর্তৃপক্ষ। ১৯৭৬ থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ময়দানে আয়োজিত বইমেলার পুরনো আলোকচিত্র নিয়ে একটি প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনী হবে। সেরা দশ আলোকচিত্রকে দেওয়া হবে পুরস্কার, আর নির্বাচিত ছবিগুলি প্রকাশিত হবে ২০২৭ সালের স্মারক সংকলনে। ছবি পাঠানোর শেষ তারিখ ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫।

জানা গিয়েছে, আগামী ২০২৬ সালের বইমেলায় অংশ নিতে চলেছে একাধিক দেশ— গ্রেট ব্রিটেন, আমেরিকা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, স্পেন, পেরু, কলম্বিয়া, জাপান, থাইল্যান্ড, এবং লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশ। আরও কয়েকটি দেশের সঙ্গে আলোচনা চলছে। ভারতের অন্যান্য রাজ্যের যেমন দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, গুজরাট, বিহার, অসম, উড়িষ্যা, ত্রিপুরার প্রকাশকরাও নিয়ম মতো অংশ নেবেন। যার মধ্যে থাকছে যথারীতি লিটল ম্যাগাজিন প্যাভিলিয়ন, চিলড্রেনস প্যাভিলিয়ন এবং নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও। তবে বাংলাদেশ থাকছে কিনা তা জানা যায়নি। গত বছর বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ছিল না। অনেক পাঠক মন খারাপ করেছিলেন। এবারও সেভাবে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না।