বিশেষ প্রতিবেদন, বেঙ্গল মিরর: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলের হয়ে কাজ করছেন! অনেক এ কথাটি প্রচার করছেন। শুধু রাজনৈতিক বিশ্লেষক কিংবা তৃণমূল বিরোধীরা নয়, খোদ বিজেপির অন্দরে এইরকম কথাবার্তার আলোচনা চলছে বলেও খবর।
অভিযোগ, দিলীপ ঘোষকে সাইড লাইন করার জন্য তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে একটি ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। প্রাক্তন সাংসদ ও রাজ্য বিজেপির প্রাক্তন মুখিয়া দাবি করেছেন, তার ব্যক্তিগত এবং রাজনৈতিক জীবনকে কালিমা লিপ্ত করার জন্যই ষড়যন্ত্র চলছে। তিনি ইনসাফ চেয়ে লালবাজারে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিজেপির একটি গোষ্ঠী প্রকাশ্যে মুখ খুলতে শুরু করেছে।
![]() |
প্রতীকী ছবি |
বিজেপির একাংশ মুসলিমদের প্রকাশ্যে রোহিঙ্গা, বাংলাদেশি ইত্যাদি শব্দে আখ্যায়িত করছেন। এ নিয়েও বিজেপির মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে বলে খবর। এটাকে ভালো চোখে দেখছেন না বহু নেতা। মোদির সবকা সাথ, সবকা বিকাশ শব্দবন্ধকে হাতিয়ার করতে চাইছে সংঘগোষ্ঠী।এখানেই শুভেন্দু গোষ্ঠীর কাজকর্ম নিয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির একাংশ ক্ষোভে ফুঁসছে। এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া লেখালেখিও হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজেপির এক সংখ্যালঘু নেতা বলছেন, যারা তৃণমূলের সঙ্গে ওঠাবসা করেছে তারা দলের উন্নতি চাইছে না। রাজ্য বিজেপির নেতারা এমন করতে থাকলে আগামী ভোটে আরও আসন কমতে পারে। উগ্র মুসলিম বিদ্বেষী প্রচার সংগঠনকে রাজ্যে ক্ষমতায় আসা থেকে অনেক দূরে ঠেলে ফেলতে পারে বলেও মনে করছে।
অন্যদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে এর আগের নির্বাচনগুলিতে এনআরসি, সিএএ ইত্যাদি ইসুকে হাতিয়ার করে সংখ্যালঘু ভোটের একটা বড় অংশ কাছে আনতে পেরেছিল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। এবারও নতুন কিছু ঘটতে চলেছে।
একটি অংশ মনে করছে ওয়াকফ আন্দোলনকে কেন্দ্র করে অনেকটাই ব্যাকফুটে ছিল তৃণমূল। বিশেষ করে শাসকদলের অনেক নেতার বিরুদ্ধে ওয়াকফ সম্পত্তি নয়ছয় করার অভিযোগ আছে। এই মুহুর্তে পরিযায়ী শ্রমিক ইসুকে কেন্দ্র করে বিজেপি বিরোধী শক্তি হিসেবে নিজেদেরকে তুলে ধরতে চেষ্টা করছে তৃণমূল।
নাম নিতে অনিচ্ছুক সিপিএমের এক নেতা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপি যখন রাজনৈতিকভাবে বিপদে পড়ে, তখন জনগণের সামনে এমন কিছু ইসুকে খাড়া করা হয়। মানুষ মনে করেন তারাই ত্রাতা। একদিকে রাজ্য সরকার আরজি কর কসবা, চাকরি বাতিল ইত্যাদি নিয়ে যখন ল্যাজেগোবরে অবস্থায়। তখন বিজেপির একটি অংশ মুসলিমদের ভয় ধরাতে চেষ্টা করছে। আর এখানেই রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে পারে তৃণমূল। আর সবটাই শুভেন্দু গোষ্ঠীদের মদতে হবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তবে বৃহস্পতিবার দেখা গেছে মুসলিমদের সম্বন্ধে শব্দ ব্যবহারে কিছুটা সচেতন হয়েছেন। এটা রাজনৈতিক কৌশল নাকি আদতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতামতের ফলশ্রুতি তা সময় বলবে।
0 Comments