বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: পুরানো এক মামলায় রাজ্যের বেশকিছু সম্প্রদায়ের ওবিসি বা অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণি সার্টিফিকেট বাতিল হয়। পরে ফের নতুন করে তালিকা তৈরি করে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। সমীক্ষা করেই করা হয়েছিল বলে দাবি। তারপরও মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। ফের নতুন তালিকার উপর স্থগিতাদেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এরই বিরুদ্ধে সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার।এরই প্রেক্ষিতে বড় আপডেট। সোমবার সুপ্রিমকোর্ট পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের অন্যান্য অনগ্রসর শ্রেণির (ওবিসি) নতুন তালিকার পক্ষেই রায় দিয়েছে। হাইকোর্টের আদেশের ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে শীর্ষ কোর্ট।
![]() |
ফাইল ছবি |
জানা গিয়েছে, দেশের প্রধান বিচারপতি বিআর গ্যাভাই, বিচারপতি কে বিনোদ চন্দ্রন এবং বিচারপতি এনভি অঞ্জারিয়া নিয়ে গঠিত বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য কর্তৃক দায়ের করা বিশেষ আবেদনের বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন আদেশ পাস করেছে। শীর্ষ কোর্টের বেঞ্চ হাইকোর্ট কর্তৃক গৃহীত যুক্তি দেখে অবাক হয়েছে। হাইকোর্টের তরফে বলা হয়েছিল যে শুধুমাত্র বিধানসভায় বিল আনতে হবে।
এ নিয়ে শীর্ষ কোর্ট বলেছে, আমরা এতে নোটিশ জারি করব। এটি আশ্চর্যজনক! হাইকোর্ট কীভাবে এমন বলতে পারে? সংরক্ষণ কার্যনির্বাহী কার্যগুলির (executive function) একটি অংশ। ইন্দিরা সোহনি মামলার রেফারেন্স দিয়ে শীর্ষ কোর্ট মন্তব্য করেছে যে, এক্সিকিউটিভ অর্ডার বা কার্যনির্বাহী নির্দেশাবলী সংরক্ষণের জন্য যথেষ্ট, বিল পাস করা জরুরি নয়। আমরা অবাক হচ্ছি। ওবিসি তালিকা বাতিল করা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের যৌক্তিকতা নিয়োগ প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। সিজেআই গাভাই হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণের সাথে মতবিরোধ প্রকাশ করেন।
আদালতে সিনিয়র অ্যাডভোকেট কপিল সিবাল রাজ্যের পক্ষে ওবিসি বহাল রাখার আর্জি জানান। তিনি বলেন, এই ওবিসি মামলা ঝুলে থাকার জন্য বিভিন্ন নিয়োগ সংক্রান্ত পরীক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি প্রক্রিয়া আটকে রয়েছে। অবশেষ কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করে রাজ্যের আবেদন মঞ্জুর করল শীর্ষকোর্ট।
কলকাতা হাইকোর্টকে অবিলম্বে এ মামলার শুনানি করে নিষ্পত্তি করতে হবে। সব কিছু চূড়ান্ত করতে হবে ৬ থেকে ৮ সপ্তাহের মধ্যেই।
0 Comments