বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: দেশজুড়ে ওয়াকফ নিয়ে আন্দোলন চলার মধ্যেই নতুন করে ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজ শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। ফলে অনেকে আশঙ্কা করছেন প্রান্তিক শ্রেণির মানুষ ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারেন। এছাড়াও সংখ্যালঘুদের প্রতি বঞ্চনা, পুলিশি জুলুম, বাংলাদেশি বলে সীমান্তের ওপারে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। এইসব বিষয়ে আলোকপাত করা ও উত্তরণের পথ খুঁজতে বিশেষ বিদ্বজ্জন সভা হয় রবিবার। এ দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা বাসন্তীর সুন্দরবন আল-মানার মিশনে সভার আয়োজন করেছিল ‘বঙ্গীয় সংখ্যালঘু পরিষদ’। সভায় বহু বিশিষ্ট মানুষ উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা নানান বিষয়ে আলোচনা করেন। ইমাম-মুয়াজ্জিনদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।
![]() |
বক্তব্যরত নজরুল সেপাই, রয়েছেন বিশিষ্টরা |
সভায় সাবেক শিক্ষাকর্তা নজরুল হক সেপাই বলেন, সংখ্যালঘু প্রকল্পে বাজেট বরাদ্দ থাকলেও সেই অর্থ সরকারের কাছে ফেরত যাচ্ছে এবং সমাজের উপকারে লাগছে না। নিজেদের আত্ম সমালোচনা করা ও শিক্ষাকে হাতিয়ার করে কওমকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দেন তিনি। অন্যদিকে এসআইআর নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন মাস্টার আবদুল হান্নান। মানবাধিকার কর্মী ছোটন দাস বাংলাভাষী শ্রমিকদের নাগরিকত্ব যাচাই ও বাংলাদেশি তকমা দেওয়ার তীব্র বিরোধিতা করেন। এছাড়াও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন নজরুল ইসলাম, সাবির হোসেন, ইউসুফ মল্লিক, আবদুল কালাম, গোলাম মরতুজা, নুরুল ইসলাম, ফাদার শ্যামল, মানবাধিকার কর্মী ছোটন দাস, ভানু সরকার, হোসেন গাজি, আসিফ রেজা আনসারী প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক আবদুর রউফ, সভাপতিত্ব করেন মাওলানা মোজাফফর হোসেন।
এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক জাহান আলি পুরকাইত জানান, আগামী দিনে এসআইআর-সহ নানান বিষয়ে হাতেকলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। আন্দোলনর রূপরেখা ঠিক করে ময়দানে নেমে কাজ করবে বঙ্গীয় সংখ্যালঘু পরিষদ। এ দিন সংগঠনের বাসন্তী ব্লক কমিটি গঠন করা হয়। শিক্ষা বিস্তারে অসামান্য অবদানের জন্য সংবর্ধিত হন সুন্দরবন আল-মানার মিশনের কর্ণধার মাওলানা আনোয়ার হোসেন কাসেমী। তিনি গণআন্দোলনের পাশাপাশি নারীশিক্ষার জন্য দীর্ঘদিন কাজ করছেন। শিক্ষা, সমাজসেবার কাজে জাতপাত ভুলে দেশের সেবা করতে ককাসেমী।
0 Comments