বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: মৃত্যুর মতোঅমোঘ সত্যের পথে পাড়ি দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের সভাপতি আবু হেনা। ইন্না-লিল্লাহ ওয়াইন্না এলাইহি রাজিউন। তিনি রবিবার রাত পৌনে এগারোটার নাগাদ ইন্তেকাল করেন।
জানা গিয়েছে, সোমবার এগারোটা নাগাদ বহরমপুরে তার মরদেহ পৌঁছাবে। বহরমপুরের কংগ্রেস দফতরে দুই ঘণ্টার জন্য মরদেহ শায়িত থাকবে। এরপর লালগোলার বাসভবনের কাছে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করার কথা। আসরের পর জানাযা নামায হবে। তারপর দাফন করা হবে।আবু হেনা'র ইন্তেকালে শোক প্রকাশ করেছেন সাংসদ খলিলুর রহমান। সাবেক সাংসদ অধীর চৌধুরী প্রমুখ।
অধীর চৌধুরী তাঁর শোকবার্তায় লেখেন, 'ভাবতে কষ্ট হচ্ছে — আমাদের প্রিয় হেনাদা, আবু হেনা সাহেব আর নেই। গত সপ্তাহেই কলকাতায় দেখা করে এলাম… আশা করেছিলাম, আবার মুর্শিদাবাদে ফিরে আসবেন, আমাদের মধ্যেই থাকবেন— আগের মতোই শক্ত হাতে পথ দেখাবেন। কিন্তু সেই দেখা যে শেষ দেখা হবে, তা কল্পনাও করিনি। দীর্ঘ পথ চলেছি আমরা একসাথে। কত লড়াই, কত প্রতিকূলতা একসাথে পেরিয়ে এসেছি। অনেক ভালো সময়ের সাক্ষী থেকেছি, আবার অনেক খারাপ সময়েও কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থেকেছি। সেই প্রতিটি মুহূর্ত যেন চোখের সামনে ভেসে উঠছে —আর এই কঠিন মুহূর্তে এই প্রথমবার দেখছি, হেনাদা পাশে নেই… তিনি কেবল প্রাক্তন মন্ত্রী বা জেলা কংগ্রেস সভাপতি ছিলেন না —তিনি ছিলেন আমার সহযোদ্ধা এবং হৃদয়ের আপনজন। তাঁর আদর্শ ও মতাদর্শের প্রতি দায়বদ্ধতা আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। তাঁর জীবনের সততা ও নিষ্ঠা শিক্ষার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। পরম করুণাময় ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করি —হেনাদা যেন জান্নাতবাসী হন। তাঁর পরিবার-পরিজন এবং সমস্ত শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা রইল। আমরা তাঁর স্মৃতি ও আদর্শ বহন করেই লড়াই চালিয়ে যাব — সেটাই হবে আমাদের তরফ থেকে তাঁর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা। '
![]() |
ফাইল ছবি |
প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে প্রথম বিধায়ক হন তিনি। ছিলেন লালগোলার বিধায়ক। ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মুহাম্মদ আলীর কাছে প্রথম পরাজিত হন।আবু হেনা ছিলেন সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের মন্ত্রিসভার ক্যাবিনেট মন্ত্রী মরহুম আবদুস সাত্তারের বড় পুত্র। পেশায় আইনজীবী ছিলেন। ২০১১ সালে কংগ্রেস ও তৃণমূল জোট সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভায় উদ্যান পালন দফতরের মন্ত্রী হন তিনি। আবু হেনা রেখে গেলেন তাঁর দুই পুত্র সন্তানকে।
0 Comments