বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে ফের প্রশ্ন তুলল প্রধানশিক্ষক সংগঠন। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ২০১৬ সালে পুরো প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিমকোর্ট। ফলে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। যার জেরে কোথাও পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই, কোথাওবা গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি কর্মীর অভাব। ফলে সব কাজ সামলাতে হচ্ছে শিক্ষকদের। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে চিঠি দিয়েছে প্রধানশিক্ষক সংগঠন। যা ঘিরে শোরগোল তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পর্যায়ক্রমিক মূল্যায়নের প্রশ্নপত্র তৈরির জন্য স্কুলগুলিকে নির্দেশ পাঠিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সেই সরকারি ফরমানে বলা হয়েছে, আগের মতো বাইরের সংস্থা থেকে প্রশ্নপত্র নেওয়া যাবে না। মানে এবিটিএ বা অন্য সংস্থার প্রশ্নপত্র চলবে না। সংশ্লিষ্ট স্কুলকে তৈরি করতে হবে নিজেদের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র। পর্ষদের এই নির্দেশিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে প্রধানশিক্ষকদের সংগঠন।
এ নিয়ে প্রধানশিক্ষকদের সংগঠন 'অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস'-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, "পড়াবেন যাঁরা সেই শিক্ষকদের শূন্যপদ তো বিশাল, এই পদ যতক্ষণ না পূরণ হচ্ছে ততক্ষণ কে প্রশ্নপত্র তৈরি করবে? তাই প্রশ্নপত্র তৈরি করুক পর্ষদ এবং স্কুলগুলিকে বিনামূল্যে তা বিতরণ করুক।"
উদাহরণ হিসেবে প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের নজির সামনে আনছে 'অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস' অ্যাসোসিয়েশন। চন্দনবাবুর কথায়, "স্কুলের ডাস্টার, চক থেকে ইলেকট্রিক বিল, রক্ষণাবেক্ষণ- মিলিয়ে আগে বড় স্কুলগুলিকে বছরে ১ লক্ষ টাকা এবং ছোট স্কুলগুলিকে ১০ হাজার টাকা দিত পর্ষদ। এখন সেটা কমিয়ে চারভাগের একভাগ করে দেওয়া হচ্ছে। পড়ুয়াদের কাছ থেকে বার্ষিক সর্বোচ্চ ২৪০ টাকা পর্যন্ত নেওয়ার নিয়ম রয়েছে। এ বাবদ যে টাকা পাওয়া যায় বছরে তার চেয়ে অনেক বেশি টাকার বিদ্যুতের বিল মেটাতে হয়। তারওপর এখন পর্ষদ প্রশ্নপত্র তৈরি করতে বলছে। কোথা থেকে আসবে সেই খরচ?"একইসঙ্গে শিক্ষক সংগঠনের অভিযোগ, স্কুটিনি ফি, রিভিউ-সহ সবকিছুর খরচ পর্যদ নিজেরা আড়াইগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে, আর স্কুলগুলির ক্ষেত্রে কোনও আর্থিক সাহায্য নেই। চন্দনবাবু বলেন, "এভাবে ভাতে মারার প্রচেষ্টা আমরা বরদাস্ত করব না। পর্ষদকে পাল্টা চিঠি দেওয়া হয়েছে।"
0 Comments