ঈদ-উল-আযহা: কুরবানি নাকি পশু-হত্যা, সময় এসেছে আত্ম-জিজ্ঞাসার

ফিরোজ হোসেন

     আগামীকাল উপমহাদেশে পবিত্র ঈদ-উল-আযহা পালন করবেন মুসলিম সমাজ। ঈদ-উল-আযহার সঙ্গে একটি রীতি প্রচলিত আছে, কুরবানি। শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সা.-এর মাধ্যমে ইসলামের পরিপূর্ণ সংস্কার আসার পাঁচ হাজার বছর আগের একটি রীতি চলে আসছে, তা হল পশু কুরবানি। আল্লাহর নির্দেশে এবং ইচ্ছায় এক কঠিন পরীক্ষায় নিজেকে বিসর্জন দেওয়ার মধ্যদিয়ে উত্তীর্ণ হওয়াকে কেন্দ্র করে। ইব্রাহিম ( আ: সা:) তিনি তাঁর একমাত্র প্রিয় সন্তানকে আল্লাহর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করার স্বপ্নাদেশ পান। ইব্রাহিম ( আ: সা:) সেই নির্দেশ পালন করতে গিয়েছিলেন আজ থেকে সাড়ে সাত হাজার বছর আগে। আল্লাহ নির্দেশে সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন পিতা ও পুত্র।এই হচ্ছে কুরবানি বা উৎসর্গের মূল বিষয় । কুরবানি শব্দের অর্থ উৎসর্গ।

হজের জমায়েতের ছবি। ইনসেটে লেখক। 

কী উৎসর্গ? কাকে উৎসর্গ ?

     নিজেকে কি কুরবানি দিতে পেরেছি আমরা? বর্তমানে আমরা যে কুরবানি বা উৎসর্গ করছি সেটা আনন্দে খাদ্য উৎসবে পরিণত করেছি। বর্তমানে পশু কুরবানি দিয়ে আমাদের অন্তরে কোনও কষ্ট অনুভূত হয় ? আমরা কি সত্যিই প্রিয় জিনিস কুরবানি দিচ্ছি ? হত্যা করছি না তো? মাংস খাওয়ার বা বড়লোকী প্রদর্শনে লোভে? চিন্তা করতে শিখুন , লোকদেখানো বিষয় ছাড়ুন। অন্তরকে পরিশুদ্ধ করুন, নিজেকে পরিশুদ্ধ করায় হচ্ছে আসল কুরবানি।

ইসলামের আগমনের প্রথম এবং প্রধানতম সর্তই ছিল সত্য ও সুন্দরের পথে সমুন্নত জীবন। যে জীবন শুধু নিজেকেই নয় অন্যকেও সুন্দরের উপাসক করে তুলবে। সামাজিক সুবিচার, ন্যায়ের প্রতিষ্ঠা, অন্যায়ের প্রতিবাদ ও মানবতার সেবাকেই ইসলাম মহান সত্য বলে উপলব্ধি করতে শিখিয়ছে। ইসলাম এমন এক ধর্ম, যে ধর্ম মানব কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিতে শিখিয়ছে। 

Post a Comment

0 Comments