বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা মামলায় স্বস্তি পেলেন রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি নিযুক্ত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের একটা বড় অংশ। অভিযোগ, দীর্ঘদিন কাজ করার পরেও বেতন পাচ্ছিলেন না তাঁরা। শুক্রবার দেশের শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভূঁইয়ার বেঞ্চ পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, দু 'সপ্তাহের মধ্যে এই শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বেতন দিতে হবে। মাদ্রাসাগুলির পড়ুয়াদের স্বার্থে সেখানকার শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীদের বেতন কোনও ভাবেই আটকানো যাবে না, শুক্রবার পর্যবেক্ষণে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি।
![]() |
উল্লেখ্য, ২০১৬ থেকে ২০২০-র মধ্যে রাজ্যের বহু জেলার মাদ্রাসায় নিয়োগ করেছিল সংশ্লিষ্ট মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটি। এর পরে নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা কাজ করতে থাকেন। কিন্তু তাঁদের বেতন দেয়নি রাজ্য সরকার- অভিযোগ এমনটাই। তাঁদের বক্তব্য ছিল, এই নিয়োগ অবৈধ। কারণ, এই নিয়োগ করবে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন। এর বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন নিয়োগপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষাকর্মীরা। শুক্রবার শুনানিতেই আবেদনকারীদের তরফে সওয়াল করেন বর্ষীয়ান আইনজীবী দেবদত্ত কামাত এবং আত্মারাম নাদকার্নি। রাজ্য সরকারের তরফে উপস্থিত ছিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদী। দু'পক্ষের সওয়াল-জবাব শোনার পরে দেশের শীর্ষ আদালতের তরফে জানানো হয়, কোনও শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মীর বিরুদ্ধে রাজ্য সরকারের সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে তার পরিপ্রেক্ষিতে আইনি পথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু চাকরি বহাল থাকা অবস্থায় কোনও ভাবেই এই কর্মীদের বেতন বন্ধ করা যাবে না। ২০২০ সালের ৬ জানুয়ারির আগে যাঁরা মাদ্রাসা ম্যানেজিং কমিটির দ্বারা নিয়োগ পেয়েছেন, তাঁদের নিয়োগকে সুরক্ষা দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। তারপরেও কী ভাবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার বেতন বন্ধ রাখে- প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি অভয় এস ওকা।
0 Comments