বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: কবি কাজী নজরুল ইসলাম, যাঁর জীবন দেশ ও সমাজের জন্য উৎসর্গীকৃত। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষ, সাম্যবাদ প্রতিষ্টা তথা মানুষের কন্ঠস্বর ছিলেন তিনি। সেই নজরুলের কবিত বুনিয়ে ব্যঙ্গোক্তি করেছিলেন আর-বাংলার এক সংবাদ উপস্থাপক। তারপর প্রতিবাদ হয়। তারই রেশ ধরে সোমবার কাজী নজরুল ইসলামের জন্মজয়ন্তীতে প্রতীকী নজরুল হাজির হন আর-বাংলার অফিসে। দেখা গেল কবির ঠাঁই হল না। যা নিয়ে ফের ক্ষোভ প্রকাশ করল কংগ্রেস। সোমবার এই ঘটনা ঘটে।
![]() |
প্রতীকী নজরুল |
প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "প্রতীকী 'কাজী নজরুল'কে নিজেদের অফিসেও ঢুকতে দিল না আর-বাংলা। চতুর্থস্তম্ভের ভিতর সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে আজ কংগ্রেস নেতা প্রমোদ পান্ডের নেতৃত্বে কংগ্রেসের কর্মীরা রিপাবলিক বাংলার অফিসে নজরুলজয়ন্তী উপলক্ষে গোলাপ ফুল নিয়ে শুভেচ্ছা বার্তা ও সম্প্রীতি বার্তা পৌঁছে দিতে যান, সঙ্গে থাকেন প্রতীকী নজরুল ইসলাম। তাঁদের মুখে থাকে নজরুলের কবিতা -" মোরা একই বৃন্তে দুইটি কুসুম / হিন্দু - মুসলমান"। কিন্তু কংগ্রেস কর্মীদের গেটে আটকে দেওয়া হয় এবং গেটে বড় তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় রিপাবলিক বাংলার পক্ষ থেকে। শেষ পর্যন্ত রিপাবলিক বাংলার সিকিউরিটি গার্ডদের হাতে গোলাপ তুলে দেন কংগ্রেস কর্মীরা। দেখা করে গোলাপ ফুল ও সম্প্রীতি বার্তা দেবার আর্জি করার পরও রিপাবলিক বাংলার কোনও সঞ্চালক এবং কার্যকর্তা নীচে নেমেও আসেননি। তবে আমরা বিশ্বাস করি যে, ভালোবাসাই পারে হিংসা ও বিদ্বেষ দূর করতে। তাই রিপাবলিক বাংলা এই ভালোবাসার স্পর্শে সুস্থ হয়ে উঠবে, এই কামনা করি আমরা।"
![]() |
ছবি সংগ্রহ |
সোমবার শহরজুড়ে নানান অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলামকে স্মরণ করা হয়। রাজ্য সরকারের তরফে নন্দন চত্বর, নিউ টাউনের নজরুলতীর্থ, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কবিকে স্মরণ করা হয়। অন্যদিকে নজরুলচর্চাকেন্দ্র, বারাসত-এর পক্ষ থেকে উত্তর কলকাতার রামমোহন লাইব্রেরিতে ছিল বিশেষ অনুষ্ঠান।
0 Comments