বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: সম্প্রতি চালু হয়েছে দিঘার জগন্নাথধাম মন্দির। রাজ্য সরকারের এই মহা আয়োজনে শামিল হয়েছেন বহু বিশিষ্টজন।আর অবশ্যই শুভেন্দু অধিকারীদের চমকে দিয়ে সস্ত্রীক হাজির হয়েছিলেন প্রাক্তন সাংসদ ও রাজ্য বিজেপির সাবেক সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এ নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তরজা শুরু হয়েছে। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতিকে আক্রমণ করেছেন আর এক প্রাক্তন তথাগত রায়। অবশ্য পাল্টা দিয়েছেন দিলীপ। এরই মধ্যে দিলীপ ঘোষের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানালো হিন্দু মহাসভা। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের উদ্যোগে গঠিত দীঘা জগন্নাথধামে প্রাক্তন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের আগমনকে শুভেচ্ছা জানালো পশ্চিমবঙ্গ অখিলভারত হিন্দুমহাসভা। হিন্দুমহাসভার রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামীর বক্তব্য, মন্দির কখনোই বিজেপি, তৃণমূল বা হিন্দুমহাসভার হতেই পারেনা । কিন্তু কোনও টেকনিক্যাল কারণে এই মন্দিরটিকে যদি কালচারাল সেন্টার হিসাবে দেখানো হয় তাহলে বলবো কোন নথি ঠিক করেনা কোনটি মন্দির আর কোনটি নয়, সনতানীদের আস্থা, শ্রদ্ধা এবং বিশ্বাস নির্ধারণ করবে মন্দিরের অস্তিত্ব। তবুও ভারতে যদি এই রকম কোনও নিয়ম থাকে যে সরকারি টাকায় মন্দির করা যাবে না তাহলে সবার আগে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাবুর কাছে আবেদন করব অবিলম্বে এই নিয়নের বদল হওয়া প্রয়োজন। যে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সনাতন ধর্মাবলম্বী সেই দেশে সনাতনীদের আস্থা ও আবেগকে সম্মান না করলে কোন প্রতিষ্ঠান, সরকার বা রাজনৈতিক দলের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাছাড়া মাথায় রাখতে হবে কোন স্থানে দীঘার জগন্নাথধামের মত মন্দির গড়ে উঠলে একদিকে যেমন সেই স্থানে ধর্মাচরণের সুযোগ হয় সেই রকম বিকল্প অর্থনৈতিক ব্যবস্থার মাধ্যমে অঞ্চলের মানুষদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা হয়।
![]() |
ছবিতে মুখ্যমন্ত্রী ও সস্ত্রীক দিলীপ ঘোষ। ইনসেটে চন্দ্রচূড় গোস্বামী |
সংবাদমাধ্যমে বিবৃতি দিয়ে চন্দ্রচূড়বাবু আরও বলেন, প্রসঙ্গ যদি হয় ধর্মনিরপেক্ষতা তাহলে বলবো ভারতবর্ষ যুগ যুগ ধরে পৃথিবীকে শিখিয়ে এসেছে "বসুধৈব কুটুম্বকম" অর্থাৎ সারা পৃথিবী একটি পরিবার। ভারতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ সনাতন ধর্মাবলম্বী বলেই এখানে ধর্মনিরপেক্ষতা টিকে রয়েছে। একসময় পাকিস্তান, মায়ানমার বা বাংলাদেশেও ধর্মনিরপেক্ষতা ছিল কিন্তু আজ তার অস্তিত্ব সেই দেশগুলোতে নেই কারণ সেখানে হিন্দুরা সংখ্যাগরিষ্ঠ নয়। ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে চাইলে আরো বেশি করে সনাতনী আদর্শের প্রচার, প্রসার ও বিস্তৃতি প্রয়োজন। সেই জন্যই আমরা চাই আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গের দেখানো পথেই ভারতের অন্যান্য রাজ্যে দীঘার জগন্নাথধামের মত বড় বড় মন্দির গড়ে উঠুক। হিন্দুমহাসভার অফিস সেক্রেটারি অনামিকা মন্ডল বলেন, আমাদের রাজ্য সভাপতি ডক্টর চন্দ্রচূড় গোস্বামী এবং বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতি প্রমাণ করলো মন্দিরের প্রতি সনাতনীদের শ্রদ্ধা সবসময় যে কোন রকম রাজনৈতিক তর্জার ঊর্ধ্বে থাকা উচিত।
0 Comments