হাকিম আলি
তৃণমূল কংগ্রেস ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলন পছন্দ করছে না। আন্দোলন স্তব্ধ করতে চাইছে তৃণমূল। রবিবার এমনই অভিযোগ করলেন আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী।এ দিন তিনি বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে এক জনসভায় বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ দিন প্রেস বিবৃতিতেও একই অভিযোগ করেছে আইএসএফ। দলটির বক্তব্য ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গে দুর্বার আন্দোলন গড়ে উঠলে সারা দেশে বিজেপি বিরোধী সংগ্রামের পালে হাওয়া উঠবে। কিন্তু সেই আন্দোলন সংগঠিত করার ক্ষেত্রে প্রতিনিয়ত এখানে বাধা আসছে। সেই বাধা আসছে তৃণমূল কংগ্রেসের পরিচালিত সরকারের কাছ থেকে। বাধা আসছে ওই দলের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের কাছ থেকে।
এ দিন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে এক সভায় আইএসএফ চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, আসলে এই আন্দোলনকে পেছন থেকে ছুরি মারতেই ব্যস্ত তৃণমূল কংগ্রেস। কৃষক আন্দোলনের সময় যেভাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে এরা পেছন থেকে মদত দিয়েছে, এক্ষেত্রেও সেই একই ঘটনা ঘটছে। না হলে সংসদে এই বিল পাসের জন্য ভোটাভুটিতে ঐ দলের কিছু সাংসদ অনুপস্থিত ছিলেন কেন? কেনই বা ওই দলের জনৈক নেতা এখন আন্দোলন বন্ধ রাখতে বলছেন আগামী মাসের পাঁচ তারিখ পর্যন্ত।
নওসাদ সিদ্দিকী এই প্রসঙ্গে বলেন, এখনই তো তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলার সময়। আদালতে আইনী লড়াই চলবে। কিন্তু রাস্তায় বিশাল আকারের আন্দোলন চাই। এটি একটি সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। সেই লড়াইয়ে অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষকেও সামিল করাতে হবে কেননা এরপর তাদের দেবোত্তর সম্পত্তি, তাদের চার্চ, গুরুদোয়ারা ইত্যাদি দখল করার অপপ্রয়াস শুরু হবে। কিন্তু একই সাথে আইএসএফ চেয়ারম্যান বলেন, এই আন্দোলন শান্তিপূর্ণ, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সম্পুর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ চরিত্র বজায় রেখে সংগঠিত করতে হবে। তিনি এদিন সহজ ভাষায় এই সংশোধনী আইনের নানান গাফিলতি তুলে ধরেন।
এ দিন সভায় এসএসসির পরীক্ষায় দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ বাতিলের প্রসঙ্গও তোলেন নওসাদ সিদ্দিকী। তিনি রাজ্য সরকারের অপদার্থতার কথা তুলে বলেন, পাহাড়প্রমাণ দুর্নীতিকে আড়াল করতে যোগ্য শিক্ষকদেরও আজ চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। তিনি বলেন, আইএসএফ যোগ্য শিক্ষকদের পাশে রয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব তাদের পুনর্বহালের ব্যবস্থা সরকারকে করতে হবে। কিন্তু এই পুনর্বহাল স্বচ্ছতার সঙ্গে করতে হবে।
বিষ্ণুপুরের ১ নম্বর ক্যাম্প মাঠে এই আলোচনাসভায় নওসাদ সিদ্দিকী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইউসুফ মণ্ডল, মেহেরুল , জুলকার খান, গোলাপ জার্মান গাজী ,সুভাষ হেমব্রম, বাবুলাল মান্ডি প্রমুখ।
0 Comments