বেঙ্গল মিরর ডেস্ক: আরজিরকর মেডিক্যাল কলেজের এক পড়ুয়া চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় উত্তাল দেশ।নানান প্রান্তে আন্দোলন চলছে। মিটিং ও মিছিল চলছে। এরই মধ্যে একটা খবর প্রচারিত হয় যে, মেয়েদের রাত–দখল কর্মসূচিতে গিয়ে বর্ধমানের অঙ্কিতা বাউড়ি নামে কোনও এক ছাত্রী নিখোঁজ হয়েছেন এবং তাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে এ কথা প্রচার করা হচ্ছে। এখন প্রশ্ন উঠছে সত্যিই কী অঙ্কিতা বাউড়ি নিখোঁজ ও ধর্ষিতা?
এ নিয়ে পুলিশ জানাচ্ছে, এই প্রচার সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে শনিবার জানানো হয়েছে যে মিথ্যা
প্রচার চলছে। সমাজমাধ্যমে যাঁরা সত্যাসত্য যাচাই-না করে এই অপপ্রচার করেছেন, জনমানসে ভুল বার্তা দিয়ে প্রভাবিত করেছেন, তাঁদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমে একটি ‘তথ্য’ ভাইরাল করে দাবি করা হয়, আরজিকর-কাণ্ডের প্রতিবাদে গত ১৪ আগস্ট মিছিলে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেননি জনৈকা অঙ্কিতা বাউড়ি। কেউ কেউ এ-ও লেখেন, বর্ধমান কলেজের ছাত্রী অঙ্কিতাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তার পর মৃতার মুখ পাথর দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। ক্রমশ ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ইত্যাদি সমাজমাধ্যমে চাউর হতে থাকে ওই পোস্ট।
শনিবার সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টে পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের তরফে লেখা হয়, ‘‘কিছু মানুষ গুজব রটাচ্ছেন যে অঙ্কিতা বাউড়ি নামে একটি মেয়ে গত ১৪ আগস্ট আরজিকরের ঘটনার প্রতিবাদ মিছিল থেকে বাড়ি ফেরার পথে ধর্ষিতা এবং খুন হয়েছেন। কিন্তু, বাস্তব হল, অঙ্কিতা বাউড়ি নামে বর্ধমান জেলায় কোনও মেয়ের ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা ঘটেনি।’’ পুলিশ আরও বলেছে, যাঁরা মিথ্যা তথ্য প্রচার করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে লেখা হয়, ‘‘যাঁরা এমন গুজব রটিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ মহিলাদের নিরাপত্তা এবং সুরক্ষার জন্য অঙ্গীকারবদ্ধ।’
0 Comments