রামনবমীতে ছুটি ঘোষণা রাজ্যের, অসন্তুষ্ট শিক্ষকরা

বিমল দে: আগে সরকারিভাবে কোনও ছুটি না থাকলেও এই প্রথম রামনবমীতে ছুটি ঘোষণা করল রাজ্য সরকার। কিছুদিন আগে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করে নবান্ন। আগামী ১৭ এপ্রিল রামনবমী। ওই দিন জরুরি পরিষেবা বাদ দিয়ে রাজ্য সরকারি এবং সরকার পোষিত সমস্ত প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। এ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন প্রধানশিক্ষকদের একাংশ। রাজ্যের প্রধানশিক্ষক সংগঠনের নেতা চন্দন কুমার মাইতি বলেন, এই ছুটি পর্ষদ নির্ধারিত ৬৫ দিনের মধ্যে থাকবে না বাইরে সে ব্যাপারে কোনও উল্লেখ নেই কেন? ইতিমধ্যেই পর্ষদ শিক্ষাবর্ষের মাঝামাঝি এসে ১০ দিনের গরমের ছুটিকে বাড়িয়ে আগাম একমাস করে দিয়েছে। হয়তো বা আরও বাড়বে। ছাত্রছাত্রী, অভিভাবক–অভিভাবিকার কোন স্বার্থ রক্ষিত হলো? কারা ওই ছুটি চেয়েছিল? চূড়ান্ত খামখেয়ালিপণার নিদর্শন বছরের পর বছর চলছে! পর্ষদ রাজ্যের সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর বেসরকারিকরণের উদ্যোগ নিজে থেকেই গ্রহণ করে চলছে বলে মনে হয়।

তৃণমূলের মিছিলের ছবি। সৌজন্যে মিন্ট

এ দিকে ছুটির ঘটনার সঙ্গে লোকসভা ভোটের সম্পর্ক দেখতে পাচ্ছে কেউ কেউ। রাজ্য সরকারের এই ঘোষণা ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ বলেই মনে করছেন অনেকে। শুধু তাই নয়, ছুটি ঘোষণাকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘‘ভোটের আগে কেন এই ঘোষণা নবান্ন করল, তা সবাই বুঝতে পারছে। মানুষ অত বোকা নয়।’’ যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, বিজেপি বিভেদকামী বলেই এ সব মন্তব্য করছে। বাংলায় মতুয়া মহাসঙ্ঘের হরিচাঁদ-গুরুচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন-সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে রাজ্য সরকার ছুটি দেয়। আদিবাসীদের করাম পুজোতেও এখন ছুটি থাকে। এ বার তাতে যোগ হল রামনবমী। এর সঙ্গে ভোটের কোনও সম্পর্ক নেই।

উল্লেখ্য, গত কয়েক বছর ধরেই রামনবমীকে কেন্দ্রে করে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় উত্তজনার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। গত বছরও রিষড়া এবং হাওড়ায় হিংসার ঘটনা ঘটেছিল। তার জেরে আদালতের নির্দেশে হনুমান জয়ন্তীতে বেশ কিছু স্পর্শকাতর এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। এবারও রাজ্যে বড় বড় মিছিল হবে বলে খবর।

Post a Comment

0 Comments